আমার মাথার উপর আকাশ,
পায়ের তলে মাটি,
আমি থমকে দাড়াই শেষে,
দেখি দশ দিগন্ত হাটি!


আমার করোটি ভরা মগজ,
তাতে চিন্তায় ভরা স্নায়ু,
আমার চোখের সামনে দৃষ্টি,
বুকে চেতনার বদ্ধ বায়ু!


সেই জলের তলে পোকা,
আজ মানুর একটা খোকা,
আমার সামনে পিছে বায়না,
আমি স্বস্তি খুজে পাই না!


আমি হারাই আমার দুকূল,
কূলের কাছেই স্বভুল,
সুধু ভাসিতে চাই জলে,
মনে আপন কথা বলে!


আমার দৃষ্টি ভরা রঙ,
সভ্যতারই জং,
আমার একলা আকাশ ভালো,
তাতে নিরেট আঁধার আলো!


আমি দুহাত দিয়ে চাই,
হাতে রাখার শক্তি নাই,
আমি জন্মক্লান্ত ধীর,
আয়ু হারায় তার নীড়!


আমি মানুষ হয়ে শেষে,
যাই পাখির মতন বেচে,
আমার নাই কো ডানা হায়,
আমি মুক্ত নিরূপায়!


আমি বাসতে গিয়ে ভালো,
গিলে খেলাম আলো,
আমার দীর্ঘশ্বাসের বিশ্বাস,
বুকে আজন্ম পাপ হলো!


আমার আপন মনের কোনা,
ঠিকানা নাই জানা,
মন হারায় অতল তলে,
আঘাত মায়ার কথা বলে!


আমার এই অশান্ত প্রান,
কারে করি দান,
গাই ডানা পোড়া গান,
বুকে স্বপ্ন অফুরান!


আমার ভাবের ভুলে পথ,
মতের বিষে মদ,
তাই পেয়ালা ভরে নিলাম,
হলাম নিজের গোলাম।


একটা সবুজ প্রজাপতি,
ছুয়েছে সম্প্রতি,
তার নীল নকশা গুনি,
সেই নীলকান্তমণি।


মনের ছবি দেখি,
আলো নাই কো বাকি,
মন বুঝে না আয়না,
দেখি প্রতিচ্ছবির ময়না!


সে আছে পড়ে বাধা,
এই যে গোলক ধাধা!
মন বাধা আয়না খাচায়,
ডানা ঝাপটা দিয়ে চেচায়!


সময় সময় বলে,
আলো আঁধার তলে,
আমি দেখবো তারে কত,
মন শক্ত রবে কত!


আমি মনের মজুর গোলাম,
হয়ে,শুন্যতাই তো পেলাম,
আমি ভ্রূণেই ভালো ছিলাম,
কেন মনের পথিক হলাম!


আমার বোধ হয়েছে ধীর,
খেয়েছি তার ক্ষীর,
বেবাক চিন্তা পেচায়,
ময়না শুধু চেচায়!


শিশুর মুখের হাসি,
অনেক ভালোবাসি,
আমি সব যে সমান চাই,
হবে কি তা ভাই!


আমার গল্প কথার দেশে,
এসে দাড়াই শেষে,
মনের কথা রয়,
সামলে চলি ভয়!


আমি পথিক ভীষণ মূর্খ,
আমার মলিন আদিখ্যেতা!
আমি আবার চলি পথে,
সাথী সবুজ নীরবতা!


শিড়ার নিত্য উপসংহারের
শেষে বাঁধি শব্দের গান !
বুকে স্বপ্ন অফুরান।