নাহ, কোন মিছে উল্কাবৃষ্টি নয়,
যাকে ভালোবাসি রাতের চাঁদ  আর দিনের সূর্যের মতন সত্যালোকে ,
আজ তার বুলি উল্কার মতন মনে হতেই-
আমাকে বিস্ময়ে শিখালো,
চক্ষের সম্মুখে দাবানল জ্বালা জ্বালালো ।
এইবার আর উল্কা নয়,
আমার বুকের উপর বৃহৎ ধুমকেতু জ্বলে গেলো মনে হয়,
যেন সব ভালোবাসার,
প্রেমের অনুভুতি সে জ্বালিয়ে দিল, দিল পুরে ছাই করে।
জল জ্বলে গেলো চোখে জ্বল জ্বল করে,
শুধু গায়ের চামড়া ভিতরের কঙ্কালটাকে জাপ্টে ধরে থরথর কাঁপে বাঁচিয়ে রাখে
প্রাণ চোখে মানুষের অপেক্ষা করে ।


দুঃসাহসে ধুমকেতু কথা সে হেসে হেসে আবার বলে,
আহত ঐ মানুষটাকে নিয়ে নীরব আমি যাই চলে।
আমি পিছে ফিরি তবু জ্বল ফিরে নাই,
দেখি উল্কামুখীও ফিরে যায় ।


একদিন সময়ে যখন সে বাস্তবতার করাঘাতে
মানুষ হয়ে ফিরবে এসে এ বুকের পাথর কুড়াতে।
দেখবে প্রেমের মাটিতে জড়িয়ে রয়েছে ছাইয়ের মোড়ক,
হারাবে মনুষ্যত্ব শেষে ছাইয়ের মাঝে খুঁজে পেয়ে হীরক ।


ছাই সে ধুয়ে নিবে শেষে,
হীরকের আলো আনন্দ ছড়াবে তার হাসিতে,
আবার ছুটবে উল্কার বেশে।
আবার আর একটি ধুমকেতুর জন্ম হবে,
না জানি কার বুকে সে ঊড়ে যাবে ।
নয়ত জন্ম হবে মহাপ্রলয়ের ,
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে বাধাহিন ভালোবাসা কারও বুকের।
মানুষের জন্য সে যেন থাকে বেঁচে জাপ্টে ধরে কঙ্কালটাকে,
আমি খুঁজে নেব ঐ ছাই আর বুক ভাসা মানুষটাকে।


বলি, পুড়িয়েছ যত ভালবাসা করে লাশ,
সকলের পিণ্ডদানে জ্বালিয়ে দেব দেবতার আকাশ।