বেঁচে থেকে থেকে হৃদয় ক্লান্ত হবে
ভেবে আমায় তুমি ব্যাথা পাবে,
এভাবে তো অনেক দিন হয়ে গেছে,
দুজনের হৃদয় নদীতে তবু উত্তাল জোয়ার, জোয়ারের চাঞ্চল্য রয়ে গেছে।


কতদিন এবার সেবার করে,
কত ধান শুকিয়ে গেল ঝরে
সূর্য এলো, চলে গেল,
একটি দিনের-ধীরে ধীরে বহু দিনের ইতি টেনে।


আকাশের তারাদের গায়ে মেখে
আমি নিয়েছি মানিয়ে নিজেকে।
সুদীর্ঘকাল তাঁরার আলো বেসে ভালো যখন দিনের আলো নিভে আসে
তখন শুধু ভয় হয়-মৃত্যুগ্লানি সমাছন্ন পৃথিবীতে, বুঝি-
সেই প্রেম ফুরিয়ে এসেছে প্রায়,
তবু তা মৃত্যুময় এক আমৃত্যু শঙ্কা নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়-না ফুরায়।


কখনও মুহূর্ত এসে বলে- আবার মনে পরে যায়,
সেই গোধূলি, নদী-নখত্র।
দুটি শান্ত শরীর হেঁটে চলা
স্থির-সত্য দৃষ্টি কথা বলা।
পৃথিবী ও সময় কেরে নিয়েছে তা-আমায় শূন্যে করে বৃথা।


তাই মনকে আমী ভাবাই
দেখি রাতের শেষে উঠে চাঁদ...
ডালপালা নড়ে বারবার...
তোমায়ও দেখি, এক্ষণও মাঝে মাঝে হাসো,
জানি হাসতে ভালোবাসতে-ভালোবাসো ।


এখানে বেঁচে থেকে ক্লান্ত আমি,
কেন ব্যাথা পাবে তুমি ?
কেন তোমায় কান্না দেবে আমার এ ক্লান্তি
আলো পৃথিবীতে ভেজা চোখে কেন ঘুমাবে তুমি ?
আঁধারের যাত্রী হয়ে ক্ষণে ক্ষণে আঁধারেই মিশি যদি এই আমি !
সেদিন,
ঝুম বৃষ্টি তোমার ঘুম ভাঙালে,
চারদিকে পৃথিবীর স্নান দেখে
বারেক ডাকবে“ফিরে এস” বলে
আমি নিথর নীরব রইব পরে।
সময়-মৃত্যু মুছে দেয় বলে
আমি বুঝব না কিছু আর,
অপলক সরলতা চোখে নিয়ে তোমার পরশাস্পর্শ ফিরে যাবে,
বাতাসের শব্দে এসে মিশে যাবে
সত্য শেষ শিহরণ তোমার।
সেই সন্ধ্যা নামবে পৃথিবীতে, আবার চারদিক ঢাকবে তোমার
কাটবে কিছু রাত নখত্র দেখে।


আবার হবে ভোর- সূর্যসাগর ব্যাথা
তোমায় দেবে শীতলতা।
এভাবে কত ভোরে - দু’পহরে এই পৃথিবীতে বাজবে প্রাণের বীণ,
ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাবে হৃদয় প্রেমের দিন।


আমার মতন-
তুমিও মানিয়ে নেবে নিজেকে,কিছু ব্যাথা বয়ে,
জাগবে অপেক্ষা তোমার
দেখে প্রেম-স্বপ্ন-শব আমার,
এই পৃথিবীর দিকে চেয়ে
আকাশ-নখত্র-রইবে আমার প্রেমের সাক্ষী হয়ে।