আজি নিঃশব্দ রুপ লয়ে থামিলো নিঃশ্বাস ঐ
থামিল ধিরে বক্ষকাঁপ শান্ত শরীর বই,
কাদিয়া উঠিল ঘুঘু
অবেলা মুহুর্মুহু দেখিয়া কুজ্ঝটিকা
বিধাতা সাজায়েছে এসময় আপন তাঁহার মনলিখা।


চার কাঁধে চলিলে শ্মশানে তুমি বাদ্যের তাল ভেদি
অমন করিয়া আসিয়াছ কভু বেয়ারার দল কাঁধি ।
দেখিছ আজিকে শেষবার ঐ গগন আপন সুন্দর
ক্ষণিক পরই হেথা জানি পাবে আপন নুতন বন্দর।


দেবতার আগুন জ্বালাইবে ঐ ঈশ্বর গড়া খাঁচা
কাঁদিবে মর্ত্যবাসি – কাদিবে পুত- কাঁদিতেছে শুন পেঁচা।
অগোচরে তুমি, চণ্ডাল সহায়ে লইয়া কাষ্ঠ আগুন ভালে  
যাইবে মিশায়ে প্রনাম সহায়ে ঐ দেবতার দলে ।


তোমারই বিদায়ো ভারে কাটাইবে রাত্রি হইয়া শ্মশানসঙ্গী
তাহাদেরও করিও তুমি বিন্দু আশীর্বাদ নিরব রাখি ভঙ্গী ।


তোমারো নয়নে একবারই যবে শেষ দেখিয়াছি মায়াখানি,
বুঝিয়াছি তবে ,শান্ত নিরবে
মরণেরে তুমি ডাকিয়াছ “পুত”- চক্ষে বেদনা আনি ।


লইতে বিদায়, চক্ষে তুমি কহিলে মোরে আর যে সময় নাই,
দিলি বিদায় যবে মোরে  , শেষ বার বুকে আয়।


মনে মনে ঢাকিয়া আবেগ বুক হতে ঐ লইয়াছি যে বেদনার ঋণ
তোমারও প্রয়ানে, দেবতার পদতলে দিলাম কেবলি তাহাই –পৌত্র দীনহীন।