নীলের গায়ে উড়িয়ে কালো বিষফুল
এলিয়েনের চোখে পৃথিবীর বিষফোঁড়া যেন ।


তারা তো আর জানে না
হার না মানার অর্থ যে লুকিয়ে থাকে মানুষের হাড়ে,
বীর মনে হয় কঙ্কালগুলকেই
চামড়ার নিচে মাংস সমেত যারা জাগে চুপিসারে ।


মানুষ মাখে ঐ ফোঁড়া জীবনের প্রয়োজনে।
ঐ বিষফুলের তপ্তদান ঊর্মি ভাঙে মানুষ,
অজান্তেই গন্ধ মাখে – জীবনের প্রয়োজনে ।


নীলের গায়ে তারা চোখ তুলে নাহ
নামিয়ে মাথা দেখে কালো লাল জ্বলে-
করে খোঁজ স্বস্তির , তীব্রতা অস্থির
তবু বিষদাঁতের ঘাত কমে নাহ ।


জন্ম দেখে,
নবজন্মের সময়কে কঙ্কাল হতে দেখে,
মৃত্যুর পরে দেখে ভাসন্ত শিশুর উল্টানো লাশে ভাসা-বীরের নত মস্তক।
  
বিষদাঁত হেসে হেসে উপভোগে-জন্মির যোনি
মাখে দাঁতে রক্তের তাজা লাল,
যেন তার আমৃত্যু অপাপ কাল
এলিয়ান তা তো বুঝে নাহ বাঙ্গাল ।


তবে, কেবল যাপনের তাগিদে,
মানুষের যে ভুলবার চমৎকার সক্ষমতা !
ভূত বলেই ভুলে, কেবল প্রাণ হারানোর সময়ের কথা
কেঁদে উঠে চোখের ইশারায় ।


তারপর জায়নামাজে বসে, করে জোড় হাত ,
নীল তবু বিষফুলে ভরা,
বিপরীতে দেয় কামড়, বসিয়ে বিষদাঁত ।