দিন শেষে যে রাত আসে সে রাত একান্ত আমার।
রাত জুড়ে দেখি আমি স্বপ্ন উপভোগ করি সুখ স্বাধীনতার।
তারপর রাত শেষে দিনের প্রথম রবি
নিয়ে আসে দাসত্বের হুলিয়া;
ঘুম ভাঙ্গা ক্লান্ত চোখে বাস্তব দুনিয়া,
দেখি পরাধীন মনে; শৃঙ্খলা বদ্ধ আমি দাসত্বের প্রয়োজনে।
হৃদয়ে যন্ত্রণা দেওয়া যন্ত্রের মত,
প্রভূর আজ্ঞাবহে আমি ছুটি অবিরত।
হুকুমের সহস্র বাণ ছোড়ে প্রথাগত প্রভূ;
জীবন ফুরিয়ে যায়, দাসত্ব ফুরায় না কভু।
প্রভূগণ সর্বত্ব অকট্ট হাসি হাসে;
একান্ত ভৃত্য আমি হুকুমের দাসে দিনে দিনে প্রয়োজনে মাথা নুয়ে থাকি!
সূর্য দিবস মেপে সেবা দানে পাই সামান্য খোরাকি।
আমি অবনীত ঋজু হয়ে সমস্ত জীবন,
দাসত্বের পোশাকে সুজ্জিত দেহ আজ্ঞাবহে মন।
প্রভূর সামান্য সহানুভূতিতে বেড়ে যায় কৃতজ্ঞতার ঋণ।
প্রতিদানে দিয়ে যায় দাসত্ব জীবনের সব সূর্যময় দিন।