দিনমান পরে থাকি ঘরের কোণায়,
নিষ্কর্মা, অলস বেশে
ঘর ছেড়ে বেড় হয় প্রতি সন্ধ্যায়,
সুর্য্য হীন এক ধুসর দেশে,
ব্যাস্ত শহরের রঙিন আলো জ্বলা বুকে,
হেঁটে হেঁটে সারা রাত,
অকর্মা আমার দিন যায় বেশ সুখে।
মানুষ আর আমার মাঝে বিশদ তফাত।
দিনের আলো চোঁখে জ্বালা করে খালি,
মানুষের দৌড়, চিৎকার, কান্নার জল
পথে শত গাড়ি ঘোড়া ধুলো আর বালি,
ফুটপাথে শত শিশু ভিখারির দল,
তার চেয়ে বেশ ভাল রাতের আঁধার,
নিকষ কালিমায় ঢাকা কত গলি,
আলো ভরা এ শহরে গোলকধাধার
সীমানা পেরিয়ে আমি চলি ।
রাত বাড়ে শুরু হয় কত শত খেলা,
কত হাঁসি, কত গান, কত পরী, কত সুরায়,
পথে ঘাটে মাঠে বসে কত মেলা।
বিলাসি মানুষগুলোর দু চোঁখ জুড়ায়।
বড় বড় রংমহলে কত রং জমে
অর্থে প্রতিবিম্বিত হওয়া কত বিলাসিতা।
কিছুলোক সুখ কেনে খুব কম দামে,
তিনশ টাকায় রাধা, সীতা।
কিছুলোক ফুটপাথে পথের ধারে
বউ ছেলে মেয়ে আর সংসার নিয়ে,
বাঁশ, কাঠ, পলিথিনে কত কারসাজি করে
তবু সেই ঘরে রাতের কুয়াশা পরে চুয়ে,,,
কিছুলোক অলিগলি ঘুরে ফিরে রাতে
ঘরে ফেরা নিরিহ কিছু শিকারের আশায়,
তাও কিছু টাকা কড়ি আসে যদি হাতে,
ভাসবে আবার তারা রঙ্গিন নেশায়।