বহু দিন ভাবা হয়না তোমায়,
কি ভাবে যে বয়ে গেল এতটা সময়,
শিশু থেকে কৈশরের গন্ডি পেরিয়ে,
এখন মোরা যৌবনের চূড়ায় দাড়িয়ে,
জীবনের নানান ব্যস্ততায় নানান ভাবে,
হিংস্র বাঘের মতই আজীবন ত্বারা করে যাবে,
একে একে চলে যাবে দিন মাস যুগ,
মিটে যাবে কামনা বাসনা হুজুগ,
যৌবনও বয়ে যাবে কোন এক ফাঁকে,
বার্ধক্য ঘীড়ে ধরবে তোমাকে আমাকে,
জানি বার্ধক্যেই পাব আমি অঢেল অবসর,
তখনি লিখবা গল্প তোমার আমার।
সেই তোমাক প্রথম দেখার পরে
কি অদ্ভূদ অনুভূতি জেগেছিল অন্তরে,
বুঝতাম না কিছুই তখন প্রেম ভালবাসা,
বুঝতাম না ঈশ্বারা ঈঙ্গিত চোখের ভাষা,
তুমিও ছিলে তেমনী, আনাড়ী, অবলা,
তাইতো আর কোনদিনই কিছুই হলনা বলা।
শুধু চেয়ে থাকা, অপলক শুধু দেখা,
বন্ধুদের লুকিয়ে তোমার নাম লেখা।
তোমার বাড়ির সামনে, তোমার স্কুল যাওয়ার পথে,
কখনো দাড়িইনি আমি, হেঁটেছি উর্দ্ধ গতিতে,
হেঁটে গেছি বারবার,
সাহস হয়নি দু দন্ড দাড়াবার।
কত কবিতা লিখেছি, স্বপ্ন দেখেছি,
মনের ভিতরে কত ছবি এঁকেছি।
তোমার অপলক চোখ আমাকে দেখেছিল,
বহুবার এ চোখে চোখও রেখেছিল।
কিন্তু সে ঠিক কেমনতর চাওয়া, তার বিশ্লেষণ,
আজও খুঁজে ফেরে আমার অবুঝ মন।
আমি খুব হেরে যাওয়া ছেলেটি ছিলাম,
তাই তো তোমাকে স্বাধীনতা দিলাম,
ইচ্ছে মত স্বপ্ন দেখো, ইচ্ছে মত আকাশে মেলো ডানা,
ইচ্ছে মত যত্ন কর, ভেঙ্গে টুকরো কর আমার হৃদয় খানা,
আমায় হাসাও কাঁদাও তোমার প্রয়োজনে,
আমায় হত্যা করে কবর দিও ঐ মনে।
শতবার বলেছি আমি, ভালবাসি, ভালবাসি শুধু তোকে,
ঠোঁট নড়েনি এতটুকু, শুধু চিৎকার দুই চোখে,,,,,,,,(অসমাপ্ত),