যত্নে ফোটা একটি গোলাপ কুড়ি
স্বপ্ন বোনে ফুল হয়ে ফুটবার,
সবুজ মনে রঙিন ভাবনার মঞ্জুরী
দিবা-নিশি তার মন করে তোলপাড় ।
ভোরের প্রথম সূর্য কিরণ দেখে
ফুল কুড়ি মৃদু- মৃদু  আঁখি মেলে চায়,
ডেকে কয় ঝলমল সোনা দাও মেখে
সহস্র চমক ঢেলে দাও মোর গায় ।
প্রজাপতি আসে রঙিন পাখা মেলে
আলতো ছুঁয়ে চুম দিয়ে যায় তারে,
দুষ্টু হাওয়া তার সাথে যায় খেলে
রংধনুটাও সাজায় রঙ বাহারে ।
ভাবে কুড়ি--- যবে ফুল হবো কুড়ি হতে
শোভা পাবো কারো খোঁপায়, কারো হাতে,
মালা হবো গলে, সুবাস ছড়াবো খুশিতে
কেউ বা সাজিয়ে রাখবে ফুলদানিতে ।
এমনি করে দিন হয় রোজ গত
গোলাপ কুড়ি আধো ফুটে আধো হাসে,
চারপাশে তার অলি উড়ে কত শত
কালো ভ্রমর রোজ গুনগুনিয়ে আসে ।
আধো ফটো কলি, পাঁপড়ি খোলে ধীরে
তার মাঝে আজ পূর্ণ ফুল হবার আভাস,
রুপ-রঙ মাখা স্বপ্ন গুলো তার গভীরে
মোহিত করে ছড়ায় যে সুবাস ।
কালো ভ্রমরের নেশায় মত্ত মন
আধো ফোটা কলি বোঝেনা তার ছলনা,
তার সঞ্চিত মধু করলো সে আহরণ
পূর্ণ ফুলে ফোটা আর, তার হলোনা ।
কোমল পাঁপড়ি তছনছ বেদনায়-----
অবহেলায় মাটি বক্ষে কেঁদে লুটায়,
হৃদয় গহীনে লালিত স্বপ্ন হায়-
পথিক পদতল অবলীলায় মাড়িয়ে যায় ।


[এখানে "গোলাপ কুড়ি" কে একটি কিশোরীর সাথে তুলনা করা হয়েছে। আজ যাদের কুসুম কোমল স্বপ্নকে দুমড়ে মুচড়ে ডাস্টবিনে ফেলা দেয়ার ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে দাড়িয়েছে ]