আমি যখন পৃথিবীতে এসেছিলাম
সবাই হেসেছিল! আর আমি তখন
কেঁদেছিলাম নিশ্চয় !
সেই ছোট্ট আমি'টি হয়তো বুঝেছিলো
এই হাসির মূল্য কত কঠিন,
কতটা যন্ত্রণাময় ।
কি পারবো ধরে রাখতে এই হাসি?
কি পারবো বেঁধে রাখতে এই সুখ?
এই অনাবিল উচ্ছলতা ?
বাবার চোখে সহস্র প্রাপ্তির ঝিলিক
মায়ের মুখে পরম শান্তির পেলব পরশ
পরিতৃপ্ত অধরে ছিলোনা কোনো কথা।
অথচ, সেই ছোট্ট আমি'টি হয়তো বুঝেছিলো
অজস্র কষ্টের পরেইনা এই শান্তি,
সহস্র বিন্দু ঘামের পরেইনা এই হাসি।
আমাকেই যে বুঝতে হবে সব
জানুয়ারীর কনকনে ঠান্ডা রাতের প্রভা
অথবা চৈত্রের গনগনে সূর্যে ঘামের গায়ে আভা।
এরপরও থেমে নেই প্রকৃতি
কতবার কেড়ে নিতে চেয়েছে আমাকে
কতবার গ্রাস করতে চেয়েছে আমাকে মরন
স্রষ্টার দোহাই দিয়ে বুকের পাজরে
আগলে রেখেছে মা।
আর আমি,ছেঁড়া আঁচলে মুখ লুকিয়ে
দেখেছি দোয়েলের নাচন।
এবার আমি আটাশ মা আটান্ন
উপযুক্ত সময় মায়ের সেই হাসির
মূল্য চুকাবার
বার্ধক্যে জীর্ণ শীর্ণ অসহায়া মা আমার।
কখনও হাসেন কখনও কাঁদেন
অবোধ শিশুর মত
মায়া ভরা মুখে তাকালে সাধ জাগে
ঢেলে দেই হৃদে ভালোবাসা আছে যত।
যে জঠরের রক্ত পিয়ে বেড়েছি নিশিদিন
কোনো মূল্যেই শোধিবেনা জানি
সেই জঠরের ঋণ ।