মনের ভেতর বাঁশের বেড়ার ঘর
খড়ের ছাউনি, হাওয়াতে নড়বড়
সেথায় ছিলো মাটির থালাবাসন
খুব সাজানো চড়ুইভাতি জীবন,
আসবাবপত্র ছিলো হাতে গোণা
মেঝেতে পাটি খেজুর পাতায় বোনা
উঠোন জুড়ে গাঁদাফুল গাছ দেখে
হলুদ স্বপ্নেরা ঝিলিক দিতো চোখে।
ভোর না হতেই পাখির গানের সুর
হাত বাড়িয়ে গা'ছুঁতো রোদ্দুর,
ভর দুপুরে নেমে ঝিলের জলে
গোসল শেষে শাপলা মালা গলে
মাটির উনুনে মাটির পাতিল পেতে
রাঁধতাম ভাত শাক সেদ্ধ তাতে।
বিকেল হলে বেনুনীতে ফুল গুঁজে
বেড়ায়ে ফিরতাম আবির রাঙা সাঁঝে।
রাতগুলো হতো স্বর্গরাজ্যের মত
জোনাকিরা এসে নিবিড় সঙ্গী হতো
হাত ইশারায় লক্ষ তারার সাথে
খেলতাম শুয়ে মাটির বিছানাতে
মুচকি হেসে চাঁদ আমার পানে চেয়ে
কপাল চুমে বলতো ঘুমাও লক্ষি মেয়ে।
ঘুম ভেঙে দেখি হঠাৎ কোনো প্রাতে
ঘুন ধরেছে হৃদয় ঘরের খুঁটিতে
হঠাৎ আবার কালবৈশাখী ঝড়
স্বপ্ন কুটির কলাপাতা থরথর।
সব হারিয়ে নিঃস্ব হলাম নিমেষে
কোথায় দাঁড়াবো ভাবছি একা বসে।
অপয়া আমি আগলাতে পারিনি কিছু যে
ভৎসনা করি সহসা নিজেকে'ই নিজে
ভাষা হারালো চোখ, হৃদয় হারালো হোশ
সব'ই নিয়তি, নাকি আমার'ই সব দোষ..!