তোমার আর আমার এক ফ্রেমে আবদ্ধ কোন প্রতিকৃতি নেই।
তোমার সাথে পাশাপাশি হেঁটে চলার আমার কোন স্মৃতি নেই,
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে ভালোবাসি শব্দটি বলতে পারার আবেগ ঘন কোন মুহূর্ত নেই।
তোমার হাতের আঙুল আমার আঙুল স্পর্শ করছে এমন অনুভবটুকুও নেই।
আমার আঁখি পল্লব থেকে গড়িয়ে পরা অশ্রুবিন্দু তোমার হাতের ছোঁয়ায় মিলিয়েছে সুখের বারতায় এমন মুহূর্ত নেই আমার জীবনে।
আমরা পায়ে পা মিলিয়ে কিছুটা পথ হেঁটেছি এমন পথ পরিচিত নেই আমার।
তোমার মন পাঁজরে হাত রেখে হৃৎস্পন্দন বুজতে পারার স্বর্গীয় অনুভূতির অনুভব জানা নেই আমার।
তোমার আর আমার নদীর বুকে পালতোলা নৌকায় ভেসে ফাগুনের পূর্ণিমা দেখতে পারার মতো স্মৃতিও কিন্তু নেই।
বৃষ্টি বিলাশ কিংবা শ্রাবণ বেলা ঘন কালো মেঘের ভেলায় হারানোর কোন গল্প নেই।
শরতের নীলাম্বরী সেজে তোমার নীলাদ্রি হওয়া স্বপ্নের কোন বাস্তব রূপ নেই।
শীতের শিশিরে পা ভিজিয়ে নগ্ন পায়ে ঘাসের নুপুর জড়ানোর মাদকতা নেই।
ফাগুনের আগুন রাঙা রৌদ্র দহনে তোমাতে পুড়ে নিঃশেষ হওয়ার অনুভব নেই।
তোমার আর আমার মাঝে ভবিষ্যৎ গড়ার কোন প্রতিজ্ঞা নেই।
তোমার বিস্মৃত জগতে আমার অনুপ্রবেশের অধিকার টুকু নেই।
তোমার আর আমার সম্পর্কের তুমি কোন নাম দাও নি,তাই হয়তো তোমার দেয়া আমার কোন নাম নেই।
আমি চেয়েছিলাম এক খণ্ড জমিতে হোক আমাদের বসবাস,যেখানে তোমার আর আমার শান্তির নীড়।
কিন্তু তুমি চাইলে বিশ্ব সংসারের মায়া।
আমি চেয়েছিলাম এক টুকরো জীবন,তুমি চাইলে অমরত্বের অমিয় সুধা।
আমার গল্পে তুমি ছিলে আগাগোড়া পুরোটাই জুড়ে,কিন্তু তোমার গল্পে আমি ছিলাম একটু আধটু হয়তো তোমার অবসরে নয়তো মনেরই ভুলে।
তোমার আর আমার যে মিলের চেয়ে অমিলের পাল্লাটাই বড্ড ভারী।
তোমার আমার গল্পটাই তো ভীষণ অন্যরকম।