শিরোনামহীন কতক শব্দ
অন্তরার ব্যঞ্জনায় সুর কষে
তানপুরার সারগামে।


যে শব্দগুলো বিমোহিত করেছে এতোকাল
সুরের ঝংকারে মেতেছে মন,
আমি অবলীলায় ভূলে গ্যাছি সে সুরের ব্যঞ্জনা।


বিভক্তি সমাসের ক্রিড়ানকে মানবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে আজ
রমন কলার রমনী শব্দের অলংকার পরেছো
মানবী থেকে রমনী হয়ে।
ধিতাং ধিতাং নাচ-মুদ্রা তুলে
ঢাক-ঢোল খোল তবলার বোলে।


শব্দগুলো দোল খায়
বুনো চিঠির রঙে,
চুমু আঁকা শহর মানচিত্রের অন্ধ গলিতে
কামনার গন্ধ উড়িয়ে...


দোহাই ঈশ্বর,.... এবার
রমনী থেকে মানবী হয়ে ওঠো।



(শব্দটা রমনী।
খুব মাথা খুটছিলো কদিন থেকে।)