প্রথমবার এক পলক দেখবো তোমায়
ছুটে গিয়েছিলাম সাইকেলে গ্রাম থেকে শহরে;
খালদা'র  রোডের কোন এক অচেনা নীড়ে
থাকতে তুমি, সে'রকমই বলেছিলে আমায়।
প্রথমবার এক ঝলক দেখবো তোমায়
অপেক্ষায় দণ্ডায়মান আমি,
মোবাইলটা তড়িঘড়িতে ভুল করে তুমি-
ফেলে এসেছিলে অগোছালো বিছানায়।
অবশেষে ক্ষান্ত হলো নীরবতা ভাঙা অপেক্ষা
অস্বস্তিকর প্রখর রোদ্দুরময় সেই দুপুরে
আমার শুকনো ঠোঁটে একটু হাসির রেখা,
কালো স্কাপ মাথায় মেয়েটির দিকে চেয়ে।
একবার দু'জনের চোখে চোখ পড়লো
একটু মুচকি হাসিতে ঝরে গেলো নয়ন তারা,
মন শতভাগ নিশ্চিত করে দিলো
আর অন্য কেউ নয় তুমি ছাড়া।


সমস্ত নীরবতা ছুঁয়ে ঠাঁই দাড়িয়ে রইলাম,
তুমি কিছু না বলেই হৃদপিণ্ডে আঁচড় দিয়ে
কাঠের পুলের রেলিং ধরে ঊর্মি খেলানো ভঙ্গিমায়
চলে গেলে যশোরের জেল রোড ধরে।
এতক্ষণে আমি স্বাভাবিক
একটু খানি পথ পিছু হেঁটে,
আমিও চলে এলাম বাড়িতে
শুধু তোমাকে নিয়ে সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে।


তারপর নাকি শহরে প্রচন্ড বৃষ্টি ঝরেছে
ফোন করে বলেছিলে তুমি,
আপনি আসেন নি কেন?
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ফিরলাম এখনি।
গিয়েছিলাম তো তোমাকে দেখেও এসেছি
তাই? --আপনি হাসছিলেন আমিও দেখেছি।


আরো একদিন দেখেছিলাম তোমাকে
মনোহর পুরের মিলিটারি ফায়ারিং রেঞ্জে;
এখন আর দেখা হয় না, কথাও হয় না!
তোমার নাম্বারটাও এখন সচল হয় না!
কোথায় আছো, কেমন আছো তুমি?
জানতেও পারি না, কিছুই জানি না!
তবে এখনো বারবার তোমায় দেখতে পাই
আমার সেই প্রথম দেখা স্মৃতিতে,
আজও শব্দ করে হেঁটে হেঁটে যাও তুমি
যশোর শহরের কাঠের পুলের রেলিংয়ে।


রচনাকাল: ২৭.০৫.২০১৭ ইং