অমাবস্যার রাতে মরে গেছে যে নক্ষত্র ,
বট বনের আগে,
তাকে ছাড়াই শেষবার পালিয়েছি আমি,
খেলাঘর অসমাপ্ত রেখে,
আঁধারের আলোয় ডুবে আছে মোর খেলাঘর ,
কদম গাছের তলে,
বাঁশঝাড়ের ঘ্রানে চাঁদ জোছনা হারিয়েছে যেথায় ,
সেই মেঠো পথে পুঁই কেঁদে ফেরে,
তুষারের মত কদমের পাপড়ি ঝরে কালীদহের বুকে,
সেই দহে ফেলে এসেছি অনেকগুলো ডুবসাঁতার,
খেলাঘরের চারপাশে ঘোরে পুরনো গাঙচিল,
কন্ঠে প্রতিশোধের চীৎকার,
মাতালের মত পিছু নেয় সংশপ্তক বাতাস,
আর আমি শুনতে পাই খেলাঘরের শেষ নিঃশ্বাস,
অসমাপ্ত রেখেই ফিরেছি আমি নিশুতিকে নিয়ে,
আমার খেলাঘর,
চোখ  বন্ধ করে কতকাল গুণেছি ঝড়,
কালবোশেখীর ঘুর্ণিতে শতবার ভেঙ্গেছে খেলাঘর,
আবার সাজিয়েছি পুঁই ডাটা দিয়ে,
নক্ষত্রকে সাথে নিয়ে,
গাঙচিলের মিছিলে ছিনিয়ে নেয়া সুখ,
আর কদমে বেশ ছিলাম আমি,
ছিনিয়ে নেয়া সুখের গন্ধে ওরা পিছু ছাড়ে না,
ডেকে চলে অমাবস্যা ছিড়ে খুঁড়ে,
শেষবার পালিয়েছি আমি নক্ষত্রকে না নিয়ে
অসমাপ্ত থেকে গেছে মৃত খেলাঘর।