হে চির তৃষ্ণা,
           সম্বল অন্তর দ্বার,  ছুঁইলে অন্তর যার।
           কাহারে রাখিলে যৌবন পাহারাদার?
           নাভির শেকল ছিঁড়িলে আজ।
           নিরক্ত শরীরে  নাইকো লাজ।
হে চির তৃষ্ণা,
           নয়নে নয়নে নাইরে দীপ্ত ছোঁয়া।
           নিদারুণ বক্ষে  বহিল যে হাওয়া।
           সুখী তুমি সুখের নিবাসীনি।
           রহিলাম  সেথায়  মূঢ় ঋণী।
হে চির তৃষ্ণা,
           উতলা মনে  অঙ্কুরিত ক্ষণে।
           জাগিলে সন্ধ্যার ক্লান্ত গগনে।
           জাগিলে ওই যৌবন বনে।
           বন্দি করিলে ওই কাননে।
হে চির তৃষ্ণা,
           মনস্কাম ছেদিয়া সমুজ্জ্বল দেহে।
           শোষণ করিল তপোবনের মেয়ে।
           শঙ্কা নাইকো শান্ত গতরে।
           যৌবন দিয়াছে  পূর্ণ করে।