কখনো কখনো একাকীত্বের আলিঙ্গনে নিজেকে সঁপে দিই
ব্যস্ততা, কোলাহল আর জাগতিক সম্পর্কের উর্ধ্ধে ওঠে।
চলার পথের ভুল-ভ্রান্তি, আশা-নিরাশার নিরেট হিসেব
জীবনের পরতে পরতে লুকানো নানান অনুসঙ্গ
পরিচ্ছন্ন চিত্রপট ভেসে উঠে একাকীত্বের ক্যানভাসে।
কর্মব্যস্তময় সময়ের জটিলতায় চিত্ত যখন বিমর্ষতার সমুদ্রে ভাসে
মৃত্যুঞ্জয়ী অসীম সরলতা হারিয়ে জীবন যখন জঠিলতায় হাবুডুবু খায়
একাকীত্ব তখন একমুঠো ফুরসৎ এনে দেয় নতুন ভাবনার।
মাঝে মাঝে তাই নিঝুম রাতের নিন্তব্ধতায় একাকী বসে দেখি
জনাকীর্ণ শহরে চাঁদের আলোর হাহাকার
অথবা নিরেট আঁধারের অন্যরকম সৌন্দর্য্য!
কল্পনায় পাতা উল্টাতে থাকি যাপিত জীবনের
দেখি শত স্বাদ-আহলাদ ঢেকে আছে আপাত সুখের আবরণে,
ফেলে আসা কোমল দিনগুলি ডেকে বলে এ কোন বন্ধুর পথে আমায় সপিঁলে,
উদার আকাশ আমার একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে শান্তনার পরশ বুলায়
ফিসফিসিয়ে বলে, বিচ্ছিন্ন ভাবনার ইন্দ্রজালে আচ্ছন্ন হয়ো না
আমার দিকে তাকাও, গভীর ভাবে তাকাও
দেখো আমার মাঝে কত সহস্র রহস্যময়তা
সৃষ্টির কত জটিল কারুকাজ খেলা করে আমার অসীম বুকে!
আমি বুক ভরে শ্বাস নিই আর গভীর বিহ্বলতায় তাকিয়ে থাকি আকাশ পানে
প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্র খঁচিত আকাশ যেন কালো বেনারসি
মোহনীয় সৌন্দর্যের অজস্র ধারায় স্নাত হয় নীরব প্রকৃতি
বিস্তৃত শামিয়ানা নিবিড় ভাবে জড়িয়ে আছে নিখিল ধরণী।
সৃষ্টির জটিল ব্যাকরণ বুঝার সাধ্য আমার নেই তবু অন্তহীন ভাবনার সাগরে ডুব দিই
মন গহীণের ক্লেদ-কষ্ট আর জীর্ণতা যেন মায়াময় কোন অদৃশ্য হাত পরম যত্নে মুছে দেয়।
আমি কৃতজ্ঞ হৃদয়ে অবনত মস্তকে স্মরণ করি প্রজ্ঞাময় মহান প্রভুর কথা-
”হে আমার প্রতিপালক! আপনি এগুলো বৃথা সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্রতম।”


##