কোকিলের কুহুতানে ভ্রমরের গুঞ্জনে
বারে বারে ফিরে যাই মাটির টানে,
নদীর বাঁকে শুভ্র কাঁশবনের ফাঁকে
বিভোর হই অচেনা পাখির ডাকে।


ফিরে যায় রাখালিয়া বাঁশির টানে
উতলা মন সোনালী ফসলের ঘ্রানে,
দূর্বাঘাসে শিশির কণা মুক্তোর দানা
গ্রামের মায়ায় হয়ে যাই আনমনা।


ফসলকাটা বিলে গ্রাম্য শিশুর দল
হৈ-হুল্লোড় করে খেলে বেঁধে দল,
নতুন ধানের খই ভাঙে ঘরে ঘরে
পাখিদের মেলা বসে তটিনীর চরে।


মন নেচে যায় নদীর টলমল জলে
গোঁধূলির রক্তিম আভা পড়ে গলে,
পাখিরা ফিরে আসে আপন নীড়ে
অরুণ হারিয়ে যায় রাতের ভীড়ে।


জোনাক জ্বলা রাতে গাঁয়ের পথে
ভাবনারা একাকী চড়ে স্মৃতি রথে,
পথের ধারে অচেনা ফুলের সুভাষে
শিহরিত মন অতীত ভেলায় ভাসে।
##