নারী তুমি কীসে তৃপ্ত হও
কারো ‘মা’ ডাকে তোমার আত্মা কি পরিতৃপ্ত হয়না
মাতৃত্বের বুক ভরা গর্বে তোমার প্রাণ ভরেনা
ভাইয়ের স্নেহ আদর আর মমতার বন্ধন
তোমার অতৃপ্ততা কী পূরণ করেনা
পুরুষ যখন তোমাকে ভাবে চলার পথের শ্রেষ্ঠ নিয়ামক
তখনও কি তুমি অপূর্ণ?
তুমি আসলে কী চাও!
কী পেলে তুমি আশ্বস্ত হও, তৃপ্ত হও, তুষ্ট হও
তোমার পদতলে পুরুষের স্বর্গ
তোমাকে আবর্তন করে কাটে পুরুষের শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও শেষতক
তোমার একটু খানি হাসির তরে পুরুষ বিলিয়ে দেয় তার সর্বস্ব,
স্রষ্টার কাছে যেমন তুমি প্রিয় সৃষ্টির কাছেও তেমন।
কন্যা, জায়া, জননী কিংবা ভগিনী যেরূপে তুমি থাকো
পুরুষের কাছে তুমি আরাধ্য।
তবুও কীসের অপূর্ণতা তোমার
তুমি নিজেকে কেন অসহায়, অবলা ভাবো
কেন তুমি ভুগো হীনমন্যতায়?
পৃথিবীর প্রথম মানব তোমার সঙ্গ পেতে স্রষ্টার কাছে করেছে আবেদন
যুগে যুগে তোমার তরে শত পুরুষের কত নিবেদন!
সৃষ্টির আদি থেকে কত শত গল্প, উপন্যাস, কবিতা তোমায় ভেবে
তোমার স্মৃতিচিহ্ন অমর করতে হয়েছে কত বিচিত্র শিল্পকলা
গড়ে উঠেছে তাজ মহল আরো কত কী!
তবুও তুমি নিজেকে উন্মুক্ত করে দাও, বিকিয়ে দাও সস্তা বিজ্ঞাপনে
নিজস্বতাকে বিলীন করে সমাধিকারের স্লোগান তুল
সবিনয়ে জানতে চাই কোন অধিকার থেকে তুমি বঞ্চিত
কন্যা, জায়া, জননী না ভগিনীর অধিকার?
মানুষ হিসেবে কেন বলনা তুমি সার্বজনীন মানবাধিকারের কথা
তবে কি তুমি শুধুই নারী……….!