আমি করোনারূপী আজরাইলকে ভয় পাই ভীষণ
কারণ, নিজের সাথে বহন করি অনেকগুলো জীবন।


তোমরা হয়তো ভাবছো বসে একলা একা আমি
আমার সাথেই সদা থাকে আমার বউয়ের স্বামী।


তোমরা হয়তো ভাবছো মরলে জীবন যাবে একার,
আমার সাথেই থাকে বাবা, আমার মিষ্টি বাবুটার।


ভাবতে পারো কী দাম আছে এ গোঁবেচারা জীবন
আমি কিন্তু বৃদ্ধ বাবা-মায়ের একমাত্র অবলম্বন।


ভাবছো তোমরা কী দাম আছে চুনোপুঁটির জীবনটায়
এই জীবনের সাথেই বেঁচে আছে একমাত্র বোনের ভাই।


কেউ হয়তো ভাবতে পারে কী আছে নিঃস্ব জীবনটায়
আছি হয়তো সাবেক প্রেমিকার প্রতি বেলার প্রার্থনায়।


জীবনের পড়ন্ত বিকেলে আমি তেজ হারা এক রবি
জীবন যুদ্ধের পরাজিত সৈনিক বুঝতে পারছি সবি।
না-পাওয়ার বেদনায় হতাশায় যদি মৃত্যকে করি বরণ
জীবনের সঙ্গী জীবনগুলোর হবে মৃত্যুর আগেই মরণ।
তাই, নিজের সঙ্গে সদা বহন করে চলেছি প্রাণহীন দেহ
যাতে অকালে হারিয়ে না ফেলে তাদের অবলম্বন কেহ।


অদৃশ্য জীবাণুর সাথে করে চলেছি জীবন-মরণ লড়াই
নিজেকে নিজে সাহস জুগিয়েছি করোনাকে না ডরাই।
নাকে-মুখে মাস্ক পরেছি করোনা থেকে পেতে মুক্তি
কে আমায় হারাবে বলো মনে যদি থাকে অদম্য শক্তি।
পরিবার আমায় শক্তি যোগায়, যোগায় বাঁচার প্রেরণা
করোনাকে পরাস্ত করবই আমি মনে প্রাণে এই ধারণা।
আমি মরলে মরবে সাথে বউয়ের স্বামী, বাবুর বাবা,
সদা সজাগ থাকি করোনা যেনো না বসায় মরণ থাবা।
চুনোপুঁটির সাথেই মারা যাবে পরিবারের অবলম্বনটা,
তাইতো অনেক বেশি ভালোবাসি এই তুচ্ছ জীবনটা।


অনেকগুলো জীবন যখন জড়িয়ে এ জীবনের সাথে
কেমন করে তুলে দেবো এ জীবনকে যমদূতের হাতে!