তুমি বরং কুলকুল ধ্বনি হয়ে বয়ে চলে যাও—
যেমনি ভৈরব বয়ে চলেছে আমার পাশ দিয়ে।
সকলের অগোচরে আমি না-হয় কয়েক ফোটা অশ্রু
ঢেলে দেব বয়ে চলা জলে,
কেউ যেন না-দেখে পাছে,
নদীর কাছে মাঝে মাঝে অধিকার ফলিয়ে
বলব— এ জলে কিছু ভাগ আমারও আছে।


তোমার জন্য ঝরিয়েছি বহু অশ্রু-ঘাম
হৃদয়ে ক্ষরিত হয়েছে এক যমুনা রক্ত
এত উদার আমি তো নই আর,
যে— বড়ো বেহিসাবে ছেড়ে দেব সকল অধিকার।
পাওনার ফিরিস্তি খুলে বসে পড়ব তোমার আঙিনায়
বেশরম কাবুলিওয়ালার মতো
কড়ায় গন্ডায় সকল পাওনা উসুল করব আমি।
প্রতি ফোটা অশ্রু-ঘাম-রক্তের দাম চুকিয়ে নিতে
খাটাব তোমার প্রতি ভীষণ অধিকার।


রামধনুর সাত রঙে বড়ো সুকৌশলে মিশিয়ে দেব
বেদনার নীল রং
রামধনুকে বলব— তোমার সপ্তরঙে মিশিয়েছি আমিও কিছু,
পাওনা বুঝিয়ে দাও, নইলে ছাড়ব না পিছু।
ভালোবাসা না-পেয়ে ভালোবাসাহীন আমি—
আজ বড়ো চতুর বণিক হয়ে উঠেছি, আর—
দেনা-পাওনার হিসেবে কেউ পাবে নাকো ছাড়!


২১.০৮.২০২১ খ্রি.
কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।