ভৈরব নদীর ইতিহাস-ঐতিহ্য আরও জানতে চাও নাকি?
অনেক কথায় হয়েছে বলা, আরও অনেক বাকি!
এই তথ্য পাচ্ছি খুঁজে ইতিহাসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
একদা নদীপথই ছিল যোগাযোগ মাধ্যম সমগ্র ভূ-ভারতের সঙ্গে।
মোগল সেনাপতি মানসিংহ যশোরের প্রতাপাদিত্যকে করতে দমন,
নদীপথেই বাগোয়ানে এসে করেন ভবানন্দ মজুমদারের সাহায্য গ্রহণ।
ভৈরব হয়েই মানসিংহ যশোরে করেন গমণ
ভারত চন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্য এ তথ্য করে সমর্থন।


নবাব আলীবর্দী খাঁ নদী পথেই বাগোয়ানে মৃগয়ায় এসে,
সপরিষদে কঠিন দুর্যোগে গিয়েছিলেন ফেঁসে।
জীবন বাঁচান নামগোত্রহীন বিধবা রাজু গোয়ালিনী,
নবাব সাহেব বিধবার কাছে হয়ে গেলেন চির ঋণী।
নবাব বাবুর উদার মন, কৃতজ্ঞ তাঁর প্রাণ,
বাগোয়ান মৌজা সেই বিধবাকে করলেন দান।
বিধবার পুত্র গোয়ালা চৌধুরী হয়ে গেলেন রাজা,
গোরুর রাখাল ছেড়ে গোরু পালন করলেন প্রজা।


মেহেরপুরসহ সমগ্র নদীয়ায় নীলকররা নদীপথেই এসে,
কৃষকের রক্ত-ঘামে উৎপাদিত উচ্চমূল্য নীল নিয়ে যেত নিজ দেশে।
আমঝুপি-ভাটপাড়ার নীলকুঠি ইতিহাসের স্বাক্ষী, দাঁড়িয়ে আছে ঠাঁই,
বহু এমন নীলকুঠি ঢাকা পড়ে গেছে মহাকালের ধুলায়।


মুক্তিযুদ্ধে হানাদারদের রুখেছিল ভৈরবের বুকের বিস্তার,
এজন্য মুক্তিযুদ্ধের পবিত্রভূমি মুজিবনগর পেয়েছিল অনেকটা নিস্তার।
পলি জমে জমে মরতে বসেছিল ছোট্ট ভৈরব নদী,
হচ্ছে খনন, শত আয়োজন,  আবার জাগে যদি।