বিত্ততে আর চিত্ত ভরে না
মধ্যবিত্ত যে আর পারে না!
নিম্নবিত্তের পিঠে ঝুলছে খাবারের ঝুঁড়ি
উচ্চবিত্তের ভালো থাকার প্রমাণ মোটা ভূড়ি।
শুকনো চিকন কঞ্চি যেন মধ্যবিত্ত বেচারা
দেখলেই বোঝা যায় তার বেহাল চেহারা।
দুই বিত্তের মাঝে মধ্যবিত্তের অবস্থান
দিনে দিনে মধ্যবিত্তের অতিষ্ঠ প্রাণ।


নিম্নবিত্ত সরকারি ত্রাণ পাবে
লুটেপুটে চেটেচুটে খাবে।
উচ্চবিত্তের কি বিত্ত-বৈভবের অভাব?
জীবন যাপন যেনো রাজা-বাদশা-নবাব।
আজ বড়ো বিপদে মধ্যবিত্ত
পেটে চলছে ক্ষুধার প্রলয় নৃত্য।


লোকলজ্জার ভয়ে মধ্যবিত্ত জনগণ
ক্ষুধার জ্বালা করছে গোপন।
নেই নাম সরকারি ত্রাণের লিস্টে
কাটাচ্ছে জীবন বড়ো দুর্দশা ও কষ্টে।
এভাবে চললে আর কিছুদিন
মধ্যবিত্তের অস্তিত্ব হয়ে যাবে বিলীন।
তাদের পেটের ক্ষুধার আগুন
বেড়ে যাবে দিনে দিনে বহুগুণ।
সেই আগুনে পুড়বে সোনার দেশ
পুড়বে ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লেশ।


ওহে দাতা! ওহে দেশের কর্ণধার!
মধ্যবিত্তের দুর্দশার প্রতি দাও সুনজর।
নইলে তাদের পেটের ক্ষুধার জ্বালা
ভাঙবে শতশত বছরের ঐতিহ্যের তালা।
লুটিয়ে পড়বে সভ্যতার ইতিহাস যত
বলো! এভাবে আর চলবে কতো।