তুমি একফালি চাঁদ না, পূর্ণিমার চাঁদ ছিলে,
ছায়া ফেলেছিলে আমার মতো নর্দমার গন্ধ-পঁচা জলে।
আভা ছড়িয়ে আমার বুকে, আপন করে নিলে,
সবুজের সমারোহ করলে সৃজন মরুর মতো দিলে।
আমার বুকের বাম পাশে শুধু তোমারি জন্য,
গড়েছিলাম স্বপ্নের তাজমহল অনন্য।
জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমিতো নই,
তবু তোমায় পাবার স্বপ্ন আমি বুকে পুষে রই।


শুকনো মরুতে সবুজ তরুতে উঠেছিল যখন ভরে,
সবুজ প্রাণ চাপা পড়ে যায় হঠাৎ মরুঝড়ে।
বললে তুমি "পিপাসু ঢের তবুও পান করা বারণ"
তুমি-আমি ছিলাম সমবয়সী এটাই নাকি কারণ।
এটা ছিল অজুহাত, ভালো করেই ছিল জানা,
সমুদ্র জলে নামবে তুমি তাই করেছিলে তালবাহানা।


কোথায় নর্দমা, আর কোথায় সমুদ্র ফারাক আছে ঢের
আগে ভাগেই তুমি পেয়েছিলে সুখ-স্রোতের টের।
সমুদ্রের উষ্ণ আহবানে কতশত রঙিন স্মৃতি ফেলে
আমায় করে পর, তুমি স্বার্থপর, গেলে চলে।


ভুলতে পারিনি প্রথম প্রেম, খুঁজি তোমায় রোজ
তুমি একটিবার ভুল করেও নাওনি আমার খোঁজ।
জানি অনেক সুখে আছো তুমি আমায় ছেড়ে দূরে
তুমি বিনা আমার জীবন বীণা বাজছে বড্ড বেসুরে।
মরুর পথিক যেমন পানির আশায় ছোটে মরীচিকার পানে
জীবন খেয়া বাইতে যে চাই তোমার স্রোতের টানে।
তোমায় নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখতাম বাঁধবো সুখের নীড়
কিন্তু, তোমার চোখের সানগ্লাসে বাস্তবতার ভিড়।
তুমি আমার স্বপ্ন ভেঙেছো, মুছে দিয়েছো জীবনের রং
নিজেকেই নিজে মিথ্যে বলে করছো সুখের ঢং।