খাঁচা ছেড়ে উড়ে যাবে যখন পোষা পাখি,
অশ্রুতে আপনজনের ভরে যাবে আঁখি।
দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে মৃত্যু খবর জানি,
তখন বাইরে থাকবে পড়ে নিথর দেহখানি।
মসজিদের মাইকে প্রচার হবে মৃত্যুর খবর,
আর কোনোদিন ভাঙবে না, চির ঘুমের ঘোর।


ক্ষমতার আমি, ক্ষমতার তুমি, ক্ষমতা দিয়ে যেত চেনা,
ক্ষমতার দাপট দিয়ে ছোট্ট পাখি আর যাবে না কেনা।
কীসের টাকা, কীসের দাপট, কীসের ঘোরে তুমি,
মরার পরে বরাদ্দ তোমার সাড়ে তিন হাত জমি।
যারা তোমায় ঠুকত সালাম নিত্য দিবা-নিশি,
গাঁও-গ্রামের ছেলে বুড়ো, পাশের গাঁয়ের পিসি;
কেউ তোমার আর নেবে না খোঁজ গোরস্তানে গেলে,
দুনিয়ার সকল কামায়, যেতে হবে দুনিয়ায়তেই ফেলে।


বউ ছেলে আর ভাই-ব্রাদার আছে যত আপনজন,
অল্পদিনেই ভুলে যাবে তোমার মৃত্যুর দিনক্ষণ।
তারা আবার ব্যাস্ত হয়ে উঠবে দুনিয়াদারীর কাজে,
একলা তুমিই রইবে পড়ে কবর দেশের মাঝে।
কবর জিয়ারতের সময়টুকুও পাবে নাকো তারা,
একদিন তোমারও সব ছিল, আজ হয়েছ সর্বহারা।


ওহে মানুষ, ফেরাও হুঁশ, থাকতে সময় বাকি,
দুদিনের এই রঙের দুনিয়ার সবটুকুই ফাঁকি।
দুনিয়ার মোহে না-মেতে তাই করো সৃষ্টার সাধন,
একদিন তোমায় ছাড়তেই হবে এ মায়ার বাঁধন।
পারের কড়ি গুছিয়ে নাও আর দেরি কোরো না,
পূন্য ছাড়া শুণ্য হাতে নৌকোয় উঠা যাবে না।