মনের মাধুরী মিশিয়ে যখন প্রেমের কবিতা লেখি
তোমরা সবাই বলো-
বুড়ো বয়সে হয়েছে ভীমরতি।


যখন মনের আবেগ কলমে ঢেলে বিরহের কাব্য লেখি
তোমরা সবাই চেঁচিয়ে বলো-
ছ্যাঁকা খাওয়া প্রেমিক হয়তো করেছিল পিরিতি।


সমাজের অসংগতি যখন আছড়ে ফেলি কাগজের বুঁকে
তখন তোমরা আমার দিকে আঙুল তুলে বলো-
আমি নাকি বিদ্রোহী, আমি নাকি দেশদ্রোহী।


যখন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে খুশি হয়ে আমি
কবিতার ভাষায় গাই দেশ ও নেতৃত্বের জয়গান
তখন আমায় চাটুকার বলে করো বদনাম।


আমায় নির্লজ্জ প্রেমিক ভাবতে পারলে,
বিরহে কাতর ছ্যাঁকা খাওয়া বিরহী প্রেমিক ভাবলে
আমায় বিদ্রোহী, দেশদ্রোহীর তকমা পারলে দিতে
চাটুকার বলে আমায় করতে পারলে বদনাম;
কিন্তু, আমায় পারলে না কবি ভাবতে।
তবে, শোনো! আজ আর আমার নেই কোনো পরিচয়।
মনের খেয়ালে বনের পাখির মতো ডেকে যাবো
কলমের মুখ দিয়ে আপন মনে কাব্যের ভাষায়।


তোমরা যাই বলো না কেনো
আমি আমার কবিতার সীমাহীন রঙিন আকাশে
উড়াব কল্পনার বাহারি ফানুস।
আমি প্রেমিক হব, বিরহী হব, হব সবি।
হব বিদ্রোহী, হব মানবতাবাদী কবি।


জীবনে অনেকগুলো বসন্ত পার করে আজ
কবিতার প্রেমেই ডুব দিয়েছি শেষে।
সাঁতার না জেনেও ভেসে চলেছি স্রোতের টানে
আমি কবিতার বুকেই ডুবে মরতে চাই।
আজ আমার আর নেই কোনো পরিচয়।