কবিতার ছন্দরা আজ এলোমেলো
নেই ছন্দের মিল, নেই অন্ত্যমিল।
ছন্নছাড়া এ জীবনের সাথে যেন বৈরিতা করেছে কবিতার ছন্দরা।
আমার পানসে জীবনের ধারে কাছেও ঘেঁষতে চায় না তারা;
দেখছি- মানুষের মতো কবিতারাও স্বার্থপর।
স্বার্থ ফুরালে বন্ধু যেমন কেটে পড়ে-
প্রিয়ার চিরচেনা ঠোঁট যেমন অচেনা হয়ে যায়-
বউয়ের শ্যাম্পু করা চুলের গন্ধ নেয়ার অধিকারটুকু যেমন স্বামী হারিয়ে ফেলে-
তেমনি আমি কবিতার কাছে আমার যোগ্যতা হারিয়েছি।


তোমাকে আর কী দোষ দেবো বলো!
দোষীতো আমি। আমিই হয়তো তোমাকে আপন করে নিতে পারিনি-
তাই তুমি আমাকে হৃদয় থেকে ফেলেছো ছুড়ে।
আবার নতুন করে তোমাকে পেতে চাই আপন করে।
তোমার দুধে আলতা গায়ে আমি পরশ বুলাবো
লাজুক ঠোঁটে নির্লজ্জ আমি একে দেবো চুমা।
ঘন কালো এলোকেশে আমি হাত বুলাবো।
তুমিইতো আমার প্রেয়শী; তুমি ছাড়া আমার কে আছে?


মানবীর ভালোবাসার রং আমি দেখেছি-
ক্ষণে ক্ষণে পালটায়, কারণে অকারণে পালটায়-
স্বার্থে পালটায়, অর্থে পালটায়, পালটায় লোভে
কখনও কখনও নিজেও জানে না কেনো পালটায়
গিরগিটির মতো রং পালটানোই স্বভাব।


এবার উলটা পথে হাঁটতে চাই আমি।
এবার কবিতার সাথে হবে আমার দুষ্টু মিষ্টি প্রেম
আমার আর চাইবার নেই কিছুই
শুধু কবিতাকে ভালোবেসে যেতে চাই।
কবিতা! তোমার আমার ভালোবাসা হবে স্বার্থের অনেক ঊর্ধ্বে
স্বার্থ থাকলে সেটা কি প্রেম হয়? হয় ব্যবসা;
স্বার্থপর প্রেমিকের মতো-
আমি ভালোবাসা নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না।