ওগো! লক্ষ্মীসোনা, চাঁদের কণা!
কেন মাঝে মাঝে তোলো ফণা?
রেগে গেলে কেন আছড়ে ফেলাও,
হাতের নাগালে যা কিছু পাও?
ছোট্ট পরি কি বোঝে, বাবা কী শুধায়!
না-বুঝে না-শুনে শুধু মাথা নাড়ায়।


আয়না-চিরুনি রিমোট মানিব্যাগ
ছোড়ে থালা-বাসন পানিভর্তি জগ।
দিগ্‌বিদিক ছোড়ে চেয়ে চেয়ে দেখি
সাজানো ঘর পলকে হলো এ কী!
পথ আগলিয়ে অফিসে করায় দেরি
দুষ্টু মিষ্টি জ্বালাতনে মরি কী যে করি!
বাসায় ফিরলেই কোলে দেয় লাফ
দেহের ক্লান্তি সব হয়ে যায় সাফ।
সুযোগ দেয় না একটু ফ্রেশ হতে
কী এমন আর যায় আসে তাতে!
সারাদিনের ক্লান্তি যায় নিমিষে চলে
জড়িয়ে ধরে যখন ‘আব্বু’ বলে।
ক্ষুধা-তৃষ্ণা যায় চলে, দূরে বহুদূরে
জাপটে যখন জড়িয়ে ধরে।


তুমি যখন হাসো, আমার পৃথিবী হাসে
কাঁদলে তুমি এ মন বিষাদে ভাসে।
এ কেমন অনুভূতি বোঝানো বড়ো দায়,
বিধাতাই জানে কেন এমন হয়!