জীবনের বালুকাতটে হেঁটে চলেছি উদ্ভ্রান্ত পথিকের মতো
জীবনকে রাঙাব বলে কুড়াতে চেয়েছিলাম নানান রঙের;
নানান আকারের নুড়ি পাথর।
হাঁটতে হাঁটতে কখন যে, সংসার নামক চোরাবালিতে
তলিয়ে যেতে শুরু করেছি টেরই পায়নি আমি।
সুখী হতে চেয়ে, সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে
এখন ঘোরতর বিপদে নিমজ্জিত হয়েছি।
টেনে তোলার মতো আপনজন নেই বলে মনে হয়।


একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছি অতলে
দুচোখে হাজারো স্বপ্ন বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
বাঁচার আশাটুকুও ক্ষীণ হয়ে আসছে সময়ের সাথে সাথে।
সংসারের মায়ায় পড়ে ভুলে যেতে বসেছি আমার আমিকে।
সংসারের আলেয়াকে আমি ভেবেছি নিয়ন আলো,
জীবনের প্রকৃত অর্থ আজ বুঝেও না বুঝার ভান করছি।
এভাবেই পেরিয়ে গেছে বহু বসন্ত;
জীবনের এই পড়ন্ত বিকেলে, জীবনের এই বেলাশেষে,
কী লাভ বলো জীবনের কাছে এসে?


সোনালি দিনগুলি দিয়েছি জলাঞ্জলি সংসারের মায়ায়
জগত সংসারের প্রতি আমার কর্তব্য
মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি আমার দায়,
আমার মনের কথা, মনের আকুতি, হৃদয়ের অব্যক্ত কথায়
কর্ণপাত করার ফুসরত হয়নি এতদিন।


এবার সংসারের মায়া ছাড়ার সময় হয়েছে।
আর কতদিন, বলো আর কতদিন এভাবে বেঁচে থাকা!
মানব জীবনকে এভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যায় না।
এবার শুনব মনের কথা, কান পাতব মনের জানালায়,
যোগ দেবো মানবতার মিছিলে, গাইব মানবতার জয়গান।
জীবন তো একটাই। এমন মানব জীবন কি আর হবে?