আমার ভাবনায় আমি ফরমালিন দিয়েছি-
তাই আমার চিন্তা-চেতনা পচে-গলে যায়নি।
আমার মানবিকবোধে আমি ফরমালিন দিয়ে রেখেছি-
তাই আমার মনুষ্যত্ব পচে-খসে পড়েনি।
আমি অমানবিক হতে পারিনি;


বলি- হে চাল চোরেরা!
জাতির এ দুর্দিনে তোমরা গরিবের পেটের ভাত চুরি করছো।
গরিবের খিদের জ্বালা তোমাদের বিবেককে আলোড়িত করছে না;
কতশত অসহায়ের আর্তনাদ তোমাদের বিবেককে দিচ্ছে না নাড়া;
একমুঠো চালের জন্য যে গরিবের পেটে চলছে ক্ষুধার প্রলয় নৃত্য -
সেই গরিবের অসহয়ত্ব নিয়ে তুমি খেলছ চোর-চোর খেলা;
গরিবের ত্রাণ চুরি করে তুমি গড়ে তুলছো টাকার পাহাড়,
তোমার মনুষ্যত্ব বলে কি কিছু নেই?
তোমার মনুষ্যত্ব পচে গেছে হয়তো-
হয়তো তোমার বিবেক হয়েছে ভাগাড়ের জঞ্জাল;
সময় থাকতে একটু ফরমালিন দিতে পারলে না;
বিবেককে, মনুষ্যত্বকে, পচনের হাত থেকে বাঁচাতে।


হে পৃথিবী শোনো!
মানব দেহকে সুস্থ রাখতে দেহ থেকে যেমন পচা অঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয়;
তেমনি তুমি এই দুর্জন-দুরাচারীদের তোমার দেহ থেকে উচ্ছেদ করে দাও।
নইলে এরা তোমার সমস্ত শরীর নষ্ট করে দেবে।
তোমার করোনা বাহিনিকে দিয়ে দাও ত্রাণ চোরদের ঠিকানা,
ওদের ধরুক, আর শ্বাসরুদ্ধ করে মারুক
ওদের বাঁচার নেই কোনো অধিকার।
ওরা নরকের কীট; শেয়াল-শকুনের আহার।