চার দেয়ালের বন্দি জীবন আমি নিয়েছি মেনে-
শতাব্দীর নতুন সূর্যোদয় দেখার প্রত্যাশায়।
একাকিত্বের সঙ্গেই খেলছি আমি শত্রু শত্রু খেলা-
সারা দিন। সারা বেলা।
কতদিন দেখিনি সারি সারি শালবীথি-
দেখেনি দূর আকাশে একঝাঁক সাদা বকের ওড়াউড়ি
কতদিন দেখিনি ঢেউয়ের সাথে ঢেউয়ের খেলা-
দেখিনি দূর্বাঘাসের উপর জমে থাকা শিশির বিন্দু
যা সূর্যালোকে মুক্তো দানার মতো করে ঝিলমিল।
কতদিন দেখিনি ঝিলের ধারে শাপলা শালুক ফুল।
মনে হয় যেনো কতদিন বুক ভরে নিইনি শ্বাস।
জানালার গ্রিল ধরেই আমি পৃথিবী দেখি-
মনে হয় কত অচেনা। কত অদ্ভূত।
সেই চিরচেনা রূপ যেনো গেছে হারিয়ে।
জানালার গ্রিল ধরেই দেখি কতশত শবযাত্রা
জানি না কখন আমিও শামিল হবো ঐ মৃত্যু মিছিলে।


হে পৃথিবী!
তুমি আমাদের দিয়েছ হৃদয় ভরে অভিশাপ
তোমার শাপ মোচনের জন্যই আমি আজ গৃহবন্ধি।
নিজেকে আজ বড়ো কয়েদি মনে হয়।
নিজ গৃহই যেনো চার দেয়ালের বন্ধ কারাগার।
তবুও আশায় বেঁচে থাকি নিরাশার অন্ধকারে
শতাব্দীর নতুন সূর্যোদয় দেখব বলে-
শতাব্দীর নতুন পৃথিবী দেখব বলে-
যে পৃথিবী হবে আরও আপন, আরও চেনা।