জীবনটাকে সরল অঙ্ক ভেবে উত্তর মিলাতে চেয়েছি বারংবার।
উত্তর মেলেনি আজও!
জীবন-অঙ্কের সমুখে এসে দাঁড়িয়েছে বড়ো বড়ো জটিল সমীকরণ।
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণে জীবনটা আজ
হয়ে উঠছে জটিল থেকে জটিলতর।


দুজনার মাঝে জটিল সমীকরণকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে
আমরা হেঁটে চলেছি জীবনের পথে
সমান্তরাল রেখা চলে যেমনভাবে।
তুমি-আমি চলেছি দুজন যেন সমান্তরাল রেখা
তাই তো দুজনার চলার পথে হয়নি কভু দেখা।


চাই! তুমি বিন্দু হও!
বিন্দু থেকে গড়ে তোলো সিন্ধু।
তোমার বিন্দুকে কেন্দ্র করে আমি ঘুরব আমার কক্ষপথ।
তুমি আমাকে নিউক্লিয়াসের মতো প্রেমের আকর্ষণে ধরবে টেনে—
ছিটকে না-পড়ি যেন।
আমি তোমার বিন্দু থেকে বৃত্ত গড়ব
ব্যাস-ব্যাসার্ধ হয়ে তোমার কেন্দ্র ছোঁব।
তোমাকে কেন্দ্র করেই ঘুরব কোটি বছর
সূর্যকে কেন্দ্র করে যেমন পৃথিবী ঘোরে আপন কক্ষপথে।
তুমিই হবে আমার ছোট্ট পৃথিবীর শক্তির উৎস।
তুমিই হবে এ জীবনের একমাত্র সূর্য।
তুমিই হবে আমার প্রেরণার বাতিঘর।
তুমিই হবে এ জীবনের সাতসমুদ্র-সরোবর।


যদি কোনোদিন কেন্দ্রের নিউক্লিয়াস না-টানে আগের মতো
না-টানে কেন্দ্রের দিকে; না-থাকে প্রেমের আকর্ষণ,
সেই দিন জীবনের কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়ব আমি
আকাশ থেকে খসে পড়া তারাদের মতন।


১০.১২.২০২০ খ্রি.
কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।