হে অকৃতজ্ঞ আদম সন্তান!
ধরণি মায়ের স্তন তুমি একাই করতে চাও পান?
তুমি কি ভুলে গেছো সেই কথা-
তাদেরওতো আছে সমান অধিকার যারা তোমার ভ্রাতা।
স্তন্যপানের অজুহাতে মাতৃদেহ করেছ ছিন্নভিন্ন,
আত্মভোগান্ধ হয়ে মাতৃক্রোড়ের অবস্থা করেছ জঘন্য।
মা অনেক সহ্য করবে; কিন্তু সহ্যের তো আছে বাঁধ
স্তন রক্ষার জন্য দুষ্টাচারী সন্তানকে করবে সে কুপোকাত।


পৃথিবীতো মায়েরই মতো-
সে দেয় অন্ন বস্ত্র বাসস্থান আরও কতো।
পৃথিবীরূপী মাতৃক্রোড়ে বসে হে অবিবেচক মানুষ,
যুগের পর যুগ করছো অমিতাচার করোনি হুঁশ।
ভরাট করেছ নদী, কেটেছ পাহাড়
আকাশে ছুড়েছ রকেট, অরণ্য করেছ উজাড়।
লোভে অন্ধ হয়ে নির্দ্বিধায় কেটেছ ধরণি মায়ের স্তন
সেই অপরাধে আর নেই তোমার পরিত্রাণ।
পৃথিবীকে বানিয়েছ জ্যান্ত লাশ
হয়তো তারই প্রতিক্রিয়ায় করোনাভাইরাস।
দেখ খুলে ইতিহাসের পাতাখানা
কালে কালে কত প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়েছে হানা।
ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ, প্লেগ, পঙ্গপাল
সবই তোমাদের কর্মের ফল।


তাই বলি- হে করোনাভাইরাস
ছিন্নভিন্ন করে দাও অপরিণামদর্শী মানুষের হাত;
সুগম করে নাও পৃথিবী তোমার চলার স্বাভাবিক গতিপথ।