সাড়ে সাতশত কোটি মানব সন্তান
শক্ত হাতে নিয়েছে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ;
শুরু করেছে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন
বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ।
তারা নিজেদের ভাবছে পৃথিবীর মালিক, আর-
যে যার মতো করছে আধিপত্য বিস্তার।
আসমান-জমিন যেনো নিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা,
করেছে কুক্ষিগত, আর কোণঠাসা ধরণি বেচারা।
যে যার মতো ভোগে মত্ত অপরূপা এ ধরণি,
ধরণি যেনো মানুষের গণধর্ষণের শিকার মুমূর্ষু রমণী।
ভাবখানা এমন- মসজিদ মন্দির গির্জা সব আমার,
পেতেছি ধর্মের ব্যবসা, খুলেছি দোকান-হাট-বাজার।


সৃষ্টিকূলের অধিপতি এবার হয়েছে সরব
ওরে মূর্খ, ওরে লুটেরা নেই তোদের নিস্তার।
পৃথিবীকে আবার বাসযোগ্য করতে
ফুল-ফল-ফসল আর পাখির কলরবে ভরতে,
বিধাতা করেছে চমৎকার এক পরিকল্পনা
বুঝবে বিশ্ববাসী তার নেই কোনো তুলনা।
পৃথিবীকে করতে মুক্ত মানবের রাহুগ্রাস
বিধাতা পাঠিয়েছে জমিনে করোনাভাইরাস।
কয়েক মাসে কমে গেছে কার্বন নিঃসরণ
কমে গেছে সাগর জলের অস্বাভাবিক দূষণ।
পৃথিবী হয়েছে ষোড়শীর বক্ষের মতো মোহনীয়
দৃষ্টি পড়েছে কি তোমার, হে প্রিয়?
এভাবে চললে আরও কিছুদিন
পৃথিবী হয়ে যাবে আরও সজীব আরও রঙিন।
জানি এর প্রতিদান শত তাজা প্রাণ
অকাতরে তাই আমি করতে চাই দান।
নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে হলেও এ পৃথিবী
মানবের বাসযোগ্য করতে চাই আমি।


তাই বলি- নহে অভিশাপ এ করোনাভাইরাস
পৃথিবীর ঘুরে দাঁড়ানোর এক নতুন প্রয়াস।