মনুষ্যত্ব খুবলে খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে শকুনের দল
এবার তারা ভীড় জমিয়েছে ভাগাড়ের চারপাশে
সমাজের উচ্ছিষ্টটুকুও তারা খাবে মহোল্লাসে।


সমাজের আনাচে-কানাচে ভরে গেছে জঞ্জালে।
জঞ্জাল ঘেটে খুঁজে আনবে তারা শেষ টুকরোটাও;
কিছুই বাদ পড়বে না শকুনির চোখ থেকে।
প্রেম-প্রীতি আর ভালোবাসার মৃতদেহ তারা খুবলে খাবে।
সত্য-ন্যায় ও মানবিকতার রক্তাক্ত লাশ এখন
চলে যাচ্ছে শকুনির দখলে।
মিথ্যের নিচে চাপা পড়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা পড়ছে সত্য,
প্রতারণার চাবুকে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে প্রেম-ভালোবাসা,
লোভের চিল ছোঁ-মেরে নিয়ে যাচ্ছে মনুষ্যত্বকে,
স্বার্থের স্রোতে খড়কুটোর মেতে ভেসে যাচ্ছে বিবেক।
এতিমের মাল গণিমতের মাল ভাবছে বিবেকহীনেরা।


আচার ও সংষ্কার চলে গেছে যেন
করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে;
তাই তো আজ দেখে বুঝা যায় না কিছুতেই—
গণিকা ও গৃহবধূর পার্থক্য, বেশভুষা ও আচরণে।
সবকিছুই আজ চলে গেছে শকুনের অধিকারে।
আমরাই প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা, সত্য-ন্যায়-মানবিকতা
বিবেক-বুদ্ধি ও শুভ চেতনাকে সমাজের ময়লাভেবে;
নিজেইরাই করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে দিয়েছি তুলে।


তাই, মানুষের জন্য শুভ সবকিছুই আজ শকুনের দখলে।
তাই, দেশের আকাশে এত শকুনের আনাগোনা।


২৬.০১.২০২১ খ্রি.
কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।