লুটেরাদের নগ্ন হস্তক্ষেপে লুট হয়ে যাচ্ছে আশা-আকাঙ্ক্ষা
লুট হচ্ছে ভুখা জনতার শেষ সম্বল পোড়ারুটি।
ওরা যেনো কপালের রেখাটাও লুটে নিয়ে
বানিয়ে দিচ্ছে ভাগ্যহীন গন্তব্যহীন অথর্ব মানুষ।
চেপে ধরছে ভাগ্যের টুঁটি।


স্বামীর বুক থেকে লুটে নিচ্ছে সোহাগি বধূ
আমরা আমজনতা গোবর গণেশ হয়ে দেখছি শুধু।
মেতে উঠছে তারা সভ্যতার নৃশংসতম জঘন্যতম লালসায়
কুকুর যেমন ডাস্টবিনের ময়লা খাবলে খায়।


শকুন দেখিনি বহুদিন
মরা জীবজন্তু, দুর্গন্ধ-পঁচা খাবার খেতে দেখতাম জঞ্জালের স্তুপে।
এখন কিছু জঘন্য শকুন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
মানুষের মতো কথা বলে, লাট সাহেবের মতো চলে
শকুনের মতো ছোঁ মেরে খায় মানুষের অধিকার
মানুষের স্বপ্ন, মানুষের বাঁচার আশা।


বেঁচে থাকার রসদটুকুও যদি ছোঁ মারে শকুন-চিলে
পিছনে ছুটে ছুটে ক্লান্ত হওয়া ছাড়া নেই কোনো উপায়
অভিযোগ করার জায়গা নেই, নেই বিচার পাওয়ার অধিকার।
সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে চিল-শকুনের মামারা।


তবুও বেঁচে আছি।
বেঁচে আছি আশায় বুক বেঁধে।
একদিন হয়তো পূর্বদিগন্তে রক্তলাল সূর্যের উদয় হবে।
সূর্যের দীপ্ত আলোয় দূরীভূত হবে জীবনের সকল আঁধার।
দুঃশাসন কালের স্রোতে ভেসে যাবে খড়কুটোর মতো
যেমন বিলীন হয়ে গেছে বৃহদাকার ডাইনোসর প্রজাতি।
আমি আশায় বেঁচে আছি।
সেই দিন দেখার আশায় বেঁচে আছি।