ওই বাজেরে, রুদ্র দোল!! রুদ্র দোল!!
আয় ছেড়ে আয় এই নিশিতে
বিশ্বমাতার চন্দ্র কোল!!
ওই বাজেরে প্রলয় নামে
জয়-জয় ধ্বনির হৈচৈ শব্দ তোল!!
ভূ-পাতালে মাতাল নাচে
গলায় দিয়ে উগ্র-ঢোল,
ওই বাজেরে, রুদ্র দোল রুদ্র দোল!!
কার হাসিতে ওই শশীতে
উঠলো জ্বলে নূর আলো?
দেখবো তারে চোখ ভরিয়া
অন্ধ বলে মন ভালো!!
তোমার বিশ্বপতির চিতায় আগুন
জ্বলছে ধুকধুকিয়ে,
সাত সিন্ধুরই জল দোলছে দেখো নয়নে তার,
এই বুঝি গেলোরে শুকিয়ে!!
ঈশ্বর এলো আঁধার চিঁড়ে
পুরুষ রুপের ছন্দতে,
জ্বলছে নেশা হৃদয় মাঝে ক্ষুব্ধ জ্বালার দ্বন্দ্বতে।
মশাল মিসাইল আগুন নিয়ে চলরে ছুটে সিন্ধুতে,
দেখবো কারা জয় করে আজ এই প্রাণের বিন্দুতে।
আয়রে ছুটে আয়রে আলো
বিশ্বমাতার বক্ষতে,
কাঁদছে শিশু দুখ বেদনায় না পাওয়া তার লক্ষতে।
এবার প্রেমের অগ্নি বাণী
নিয়ে এলো আলোর রানী,
কিইবা জানি কত খানি,
নিদারুন অরুণ জ্বলে আমার করুণ মনে,
তরুণ কালে সব পিষে খাই রুদ্র রক্ত রণে।
বাজছে তোমার ওই চরণে,
ললাটে তোর আগুন বরণে,
বিশ্ব প্রেমের নিত্য নতুন হরণে।
ওই বাজেরে,
রুদ্র দোল!! রুদ্র দোল!!
আয় চলে আয় এই নিশিতে
বিশ্বমাতার চন্দ্র কোল!!
যায় বেজে যায়,
বক্ষে তোমার অগ্নি মাখা পৃথী-ঢোল!!
কেমন যেন লাগছে আজি,
উঠলো বুঝি,কালবৈশাখীর ওই রুদ্র ঝড়।
চমক দিয়ে উঠলো কেঁপে বিশ্ব বীণার জাগরণ!!
সেই বিধাতার নৃত্য তুমি, নাচরে মেয়ে তুই সারাক্ষণ।
জয় ধ্বনি ওই বাজছে দেখো সিন্ধু পাড়ের দুর্গতে।
প্রেম এলোরে বিশ্ব মাঝে দোষ কি দিবি মোর দূর্গাতে।
বাজারে তোরা ভয়াল নাদে দুন্দুভি,
বাজুক আরো সাজুক লাজুক নারী খুবি!!
ওই আকাশের মেঘমালা আজ ঝরছে
ভীষণ জয়ের আনন্দতে,
উঠলো কেঁপে বিশ্ব পাতাল জয় ধ্বনির ওই ছন্দতে!!