বাবা তোমার লাঙ্গল জোয়াল
হালের বড় গরু
দক্ষিনের ভিটে ছনের ঘর
বাড়ির পিছনের কদমগাছ,
বাবা এ সবি আগের মত
শুধু বড় হচ্ছে কদমগাছ ।


বাবা আষাঢ়ের বৃষ্টিতে
ধুয়ে-মুছে চলে যাচ্ছে জমির মাটি
ভেসে যাচ্ছে নতুন ফসলের মাঠ ।


বাবা আজ তোমায় ভিষণ মনে পড়ছে
হালের বড় গরুটা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে
আর চোখ দিয়ে অবিরত অশ্রু ঝরে
বাবা আমার কথা তোমার মনে পড়ছে না এখন
লাঙ্গল নিয়ে মাঠে যাবার সময়
অর্ধেক পথ থেকে ফিরে আসতে
আমায় এক নজর দেখার জন্য
পাশের বাড়ির যদুর মা বলতো এ কথা ।


আমার বুকের ভিতর টা ভেঙ্গে যায়
পাথর ভাঙ্গা কষ্টে বাবা !
বাবা মাটির নিচে কি বৃষ্টির পানি যায়
তোমার শরীর কি ভিজে যায় ?
আমি কি তোমার গামছা নিয়ে আসবো ।


নাঙ্গল জোয়াল গোয়াল ঘরে বন্ধি
স্বপ্ন আমার দূর আকাশের সন্ধি
অআলোয় দেখছি-
পৃথিবীর বহু রঙ্গিন রং
কদমগাছটি দিনে-দিনে
বাড়াচ্ছে তার ঢং ।