একটা দুঃখ লুকাতে গিয়ে
নিজেকে আড়াল করে ফেললাম;
তার পর,
আমাদের দূরত্ব বেড়ে গেল
দু’চোখ ভরা স্বপ্ন আমাদের সংসার হবে
আমরা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারি না ।
মিথিলা যেদিন কপালে কালো টিপ পড়ত
সেদিন তাকে যে কেউ দুর্গা বলত,
মাটির দিকে নুয়ে পড়ত ওর মায়াবী চোখ
কাজী অফিস থেকে কাজী অফিস
দু’বার আমাদের মিলত হওয়ার সুযোগ হয়েছিল
আমাদের অনাগত কন্যার নাম রেখে ছিলাম ‘নেহা’
তার কিছুদিন পরেই,
রাজার গল্পের মত আমাদের সমস্ত স্বপ্ন মিথ্যা হল ।
মিথিলা এখন বড় আমলা
নতুন গাড়ি, ডুপ্লেক্স বাড়ি
স্বামী বিদেশি জাহাজের মস্ত বড় প্রকৌশলী
আমি দু পয়সার  পত্রিকার ছোট এক কেরানি
ঘরের বউ খিস্তীখেউর দিয়ে বলল,
পরনারীর সঙ্গে কথা বল কেন?
অতীত দুঃখ বাড়ায়,
তারে ভুলে যাও সে পর মানুষ!
পাগলিরে বোঝাতে পারলাম না সে মনের ভেতর
তারে মারার বিষ থাকলে দাও!
অনেক গুলো স্মৃতি পুড়িয়ে মালা গাঁথা যায় না  
আমারও মস্ত বড় গাড়ি থাকত,
যদি তাকে বিশ্বাস না করতাম ।
সেই পুরোনো হেরে যাওয়া মানুষের মত আমিও বলি
জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে সবি তাঁর হাতে
সুখ-কুঞ্জ থেকে আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে নক দেয়
আজ ওষুধ খেয়েছেন? হাতের ব্যথাটা কমেছে
হাতের ব্যথা কমলেও বুকের ব্যথা বেড়েছে হাজার গুণ
এখন সংসার হয়েছে, এসব কথা কী আর সে বিশ্বাস করবে
তাই চেপে যাই,
বলি হ্যাঁ,
আমি বেশ আছি গো।
‘ফোন রেখে দিন আপনার স্বামী দেখে ফেললে জাত যাবে
আমার স্বামী অন্য পুরুষের মতো না !
আহারে আজও আমি পুরুষ হতে পারলাম না
তাই বলে তুমি আজ পরের ঘরের লক্ষ্মী ।’