পর পুরুষের সঙ্গে কথা বলা পাপ
তা আমার মনে হয়না
যে হৃদয় বুঝে না ব্যথা বুঝে না
সে কি মানুষ ? দেখতে মানুষের মতই ।
আমি কবিতা পড়ি, রবী ঠাকুর আমার প্রিয়
আমি লালন শুনি সে আমার সাধনা
আমার জন্মদিনে পাওয়া
গীতিবিতান সে পুড়িয়ে ফেলেছে ।
আমি  আমার  হৃদয় থেকে তাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছি -
আমার শরীরের ক্ষত মুছতে প্রয়োজন ছিল ঢের
ব্যথা ভুলতে অপরিচিত হৃদয়ের অনুসন্ধানে
মধুবার্তায় আমি মগ্ন হই
বিনিময়ে চলে বিনিময় সাজানো সংসারে ।
এত পুরুষ! মানুষ কোথায়?
দু’হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিতে চায়
আমি আল্লাহ্ খোদার দোহায় দিয়ে-
নিজেকে ঢেকে রাখি
ব্যথার কফিনে মৃত লাশের মত ।
আমি হাসতে চাই প্রাণ খুলে-
শতকোটি কবির কবিতার মত
আমার হৃদয় অতি ক্ষুদ্র নিষ্ফল
তুমি সুখ খুঁজতে আসো
আমি জামার বোতাম খুলে দেবো
তুমি দেখে নিও
সুখ নিও
দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারবে তো !
চারি দিকে এত কিছু দেখি
হৃদয় বুঝবার  মানুষ দেখি না ;
পর পুরুষের সঙ্গে কথা বলা পাপ !
যে আমার হৃদয় না বুঝে-
কাছে টেনে নেয়, শকুনের মত নখ দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়।
আমি রক্তাক্ত বে হুস ।
সে চায় আবেগ …
আমি গরুর মত শরীরের নিচে পরে থাকি
আর চিৎকার করে উঠি
সে আরো আবেগ চায়
আমি রক্তের সাগরে ভেসে যাই ।
আগত অতিথি কে মেরে ফেলা পাপ নয় বুঝি
পাপ শুধু কথা বলায় ?
আমি একটু প্রেম চাই ?
কবিতা পড়তে চাই ?
সংসার চাই ?
বিশ্বাস চাই ?
তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাইতে চাই ?
তুমি আগে পুরুষ নয়
আগে মানুষ হও!