আজ তোর কথা শুনবো, সোনা;
আজ আমি তোর কষ্টের কথা শুনতে চাই।
বলবি আমাকে নিজের একান্ত কথাগুলো?
দিনশেষে গভীর রাতে মাঝে মাঝে আমার কাছে ছুটে আসিস্।
একান্ত নির্ভরতায় আমার বুকে মাথা গুঁজে দিস্,  শান্তির অন্বেষায়।
আমিও পরমাত্মীয়ের মতো তোর আত্মার সাথে মিশে যাই।


চমৎকার কবিতা লিখিস্ তুই; লেখার পরতে পরতে শুধু চাপা কান্না আর কষ্টের পাহাড়।
ভালোবাসার মানুষটি কষ্ট দিলেই কেবল এমন লেখা হতে পারে!


তোর কোনোই মেয়েবন্ধু নেই ফেসবুকে।
নানাবয়েসী পুরুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে তোর স্টেটাসে; হোক তা ছবি, কবিতা বা অন্য কিছু।
কবিতা বুঝে বা বুঝার চেষ্টা করে, নিদেনপক্ষে ভালোবাসে, এমন মানুষ হাতে গোনা।
সবাই পতঙ্গের মতো তোর আলোর পাদপ্রদীপে ছুটে আসে মোহাবিষ্টের মতো।
অনেক লোকের কমেন্ট্সএও খুব কষ্ট প্রকাশ পায়, তোকে ছুঁতে না পারার কষ্ট।
ভার্চুয়াল জগতের কাঁচের আয়নায় ছবি দেখে ছুঁতে চায়; তোকে পেতে চায় একান্ত করে।
নাচাতে চায় নিজের গড়া ভ্রান্তির রংমহলে।


তোর কষ্ট বুঝতে চায় কি তারা?
তোর কি ইঙ্গিতে, কি আহ্বানে পুড়ে মরতে চায় সেসব পুরুষ?
আর তুইই বা কেন আমার মরুভূমির মতো ঊষর বুকে মরূদ্যানের শান্তি খুঁজিস্!
আমিওতো ওদের মতোই অঙ্গার হই প্রতিনিয়ত, তুই চলে গেলেই।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৮ মে ২০১৯