আলোকের শিখা নেমে আসে রাতে দূরের  আকাশ হতে;
নক্ষত্রের শুভবার্তা নিয়ে নীরবে নিঃশব্দে একাকী।
অপূর্ব কারুকার্যে মহান শিল্পী গড়েছেন তোমার শরীর;
উম্মুক্ত সেই সৌন্দর্য পরম মুগ্ধতায় আমি চিনে রাখি।


তোমার মায়াবী চোখের দ্যুতি ছড়ালো চারদিকে;
বিচ্ছুরিত হলো আমার দুচোখের মণির কোঠায়।
তোমার রহস্যে ঘেরা হাসি মুক্তোর দানার মতোই;
গভীর সমুদ্রে থাকা ঝিনুকের খোলস ভেঙে কেইবা উঠায়!


রক্তিম আনারের রসে ভরা তোমার নিটোল দুটি গাল;
সেই গালে টসটসে যৌবন যেনো অবিরত ঝরে পড়ে।
আমার বুকের মাঝে সঞ্চারিত অনাবিল আবেগ তখোন;
আমার তৃষ্ণার্ত দু'ঠোঁট তোমার ওষ্ঠে আর  অধরে।


তোমার বুকের পাহাড়ে দেখি শিল্পীর সুচারু কারুকাজ;
আদিমতা খুঁজে পাই সব কটি আঙ্গুলের চাপে, নিষ্পেষণে।
শুধুই কামনার আগুনের তাপে উত্তাপে দগ্ধ হতে থাকি;
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে যেনো বসে আছি  সুখের অন্বেষণে।


অনন্তযৌবনা তুমি ভাদ্রের ভরা নদীর মতোন;
কখোন দাঁড়াবে এসে আমার সম্মুখে, বুক ঘেষে!
অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে খোলা আকাশের নীচে;
তোমার ঊরুসন্ধির খাদে ডুবে যাবো যতিহীন রতিসুখ পেতে অবশেষে।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৬ আগস্ট ২০২১।