অমাবস্যার অন্ধকারে মেঠোপথে হেঁটে গেছি বহুদিন;
দুচোখে আলোর কণা খেলা করে গেছে, কালোও রঙিন।
কালোও এতো আলোময় হতে পারে, দেখিনি শহরে;
ইট আর পাথরের কারুকার্য দেখে যাই প্রতিটি প্রহরে।


পল্লীও সেই পল্লী নেই আর, বিজলির রোশনাই জ্বলে;
ছোট্ট খোকাটি হয়ে সেখানেও অন্ধকার খুঁজি কুতূহলে।
অমাবস্যার অন্ধকারে আমি সেই আলো খুঁজি বারবার;
আলোও এখন অন্ধকারে ঢেকে আছে, শুধুই আঁধার।


মানুষের মনেও আজ আলোহীন কালো করে উৎসব;
আগেকার মানুষেরই মতো এদেরও হাত-পাও- মাথা-মুখ, সব।
নেই শুধু সেই মন, সেই প্রীতি, সেই প্রেম,  স্মৃতিকাতরতা;
এদের উল্লাস মানবিক নয়, প্রশান্ত নয়; নেই উদারতা।


ঘুমঘোর ভেঙে দূর স্মৃতি কখনো কি জাগবে   আবার;
দেখে যেতে পারবো কি আলোকিত মানুষ আরো একবার।
আকাশে এখনো অন্ধকারে তারাদের মেলা, জমকালো;
পেঁচার মতোই দেখে যেতে ইচ্ছে করে অন্ধকারে আলো।


রচনাকাল: ঢাকা, ০৭ জুলাই ২০২১।