'শোনো নাই পঞ্চপান্ডব খ্যাত অর্জুনের কথা?
অযথা
ভাঙালে ঘুম অসময়ে,
হে বালক,' অর্জুন যায় ক'য়ে,
'বনবাসে
এই বনে আছি কিছুদিন। কি হেতু এসেছো তুমি  আমার সকাশে?'


তীর আর ধনুক হাতে ছদ্মবেশে
তেজী ঘোড়ার পিঠের সওয়ারি বলে অট্টহাসি হেসে,
'আমি চিত্রাঙ্গদা, মনিপুর রাজকন্যা,
রূপে আর গুণে অনন্যা
এক নারী।
রাজপুত্রের মতোই বেড়ে উঠা আমি পুরুষের সমান, সবকিছু পারি।
পারি না কেবল পরিচয় দিতে
নারীর কোমল মনের। নিতে
পারি শত্রুর জীবন মুহুর্তেই তীরের আঘাতে;
পথের কাঁটা দূর করি এক লহমায় এই দৃঢ় হাতে।
শিকারে এসেছি আমি একা ছদ্মবেশে এই বনে;
আসিনি তোমার কাছে কোনো প্রয়োজনে।'


অর্জুন হেসে বলে,' প্রগলভা নারী, যতোই তেজদীপ্ত হও না কেনো
পুরুষের মতোন; তুমি নারীই, শুধু এটুকুই জেনো।'


অবজ্ঞাভরা শ্লেষ মেখে দুই ঠোঁটে,
চিত্রাঙ্গদা বলে উঠে,
'হতে পারো তুমি বীর;
নারী হৃদয়ের কিছুই বুঝো না তুমি, তুমি উম্মাদ, অস্থির।
চালাতে শিখেছো তীর বঙ্কিম ধনুকে রেখে;
শিখোনি ভালোবাসা কাকে বলে! প্রেম জাগেনি মনে কোনো রমণীকে দেখে?'


অর্জুন বলে উঠে,' মনসিজ কখনো যদি চায়;
আমার এ হৃদয় ভরে যেতে পারে প্রেম আর ভালোবাসায়।'


'তোমাকে শেখাবো আমি, প্রেম আর ভালোবাসা কাকে বলে।
অপেক্ষা করো আরো কিছুদিন,' এই বলে চিত্রাঙ্গদা ঘরে ফিরে চলে।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৫ এপ্রিল ২০২০