জনমদুখিনী, বাল্যবিধবা তুমি?
সাদা থান কাপড়ের শাড়ি পড়ে আছো আজন্ম!
গ্রীষ্মের প্রখর রোদ্দুরে তুমি নিজেকে পুড়াও;
নির্বিকার থাকো বর্ষার অফুরান বৃষ্টিতে ভিজেও।
বছরের বাকী সময়টাতে নির্জীব থাকো, কখনোসখনো ম্লান মুখে তাকাও এই পৃথিবীর পানে।


শ্বেতশুভ্র অপার সৌন্দর্য তোমার, মিষ্টি সুগন্ধির হয় নাতো শেষ!
যুগে যুগে প্রেমকাতুরে মানুষের রয়েছে তোমার প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা;
গলায়, খোঁপায় আর বাহুতে জড়িয়ে রাখে তোমাকে।
তোমার আনন্দ হয় না তখন, মানুষের এতো ভালোবাসা পেয়ে?
দুঃখ যায় না কমে, কুমারীর আবেগের সাথী হয়ে?


শুভ্র বসনা!
নন্দিনী ছিলে কবে কার, ভুলে যাও।
মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছো তুমি; ভুলে যাও সব দুঃখ আর গ্লানি।
জেনে রেখো, মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড়ো কিছু নেই আর এই পৃথিবীতে।
যদিও সবাই ভালোবাসতে জানে না;
তোমাকে মাড়িয়েও যায় কেউ কেউ।

রচনাকাল: ঢাকা, ১৭ মে ২০১৯