আমাকে আর এখন ভালো না-ই লাগতে পারে তোমার,
করতেই পারো অতীতের সবকিছু অস্বীকার।
সে মুখোমুখি বলে দিলেই তো হয়,
কেনো অভিনয়?
এতো ঘোরপ্যাঁচের কি আছে?
ভাবছো পাছে
আমার যদি কিছু একটা হয়ে যায়?
যদি কেউ তোমাকে ফাঁসায়?
আমি তো পাগল নই।
অবশ্যই
কষ্ট হবে মনে। মাথায় ভেঙ্গে পড়বে সপ্ত আসমান।
বুকের উপরে আছড়ে পড়বে পাথর পর্বতসমান।
অশ্রুর বন্যা বয়ে যাবে নদীর স্রোতের মতো।
কতো
সময় দিয়েছি তোমাকে আমার জীবন থেকে কেড়ে নিয়ে!
একটু সুখের আশায় নির্লজ্জের মতো গিয়ে
তোমার সম্মুখে দাঁড়িয়েছি।
দুহাত বাড়িয়েছি
অকৃত্রিম মমতায়।
আজ হায়
এই তার প্রতিদান!
এতো অপমান
আমাকে করতে পারো তুমি? দিতে পারো মিথ্যে অপবাদ?
সাধ
মিটে গেছে তোমাকে পাওয়ার।
চলে যাবে যে যাওয়ার।
কি দিয়ে বাঁধবো আমি তাকে
আমার এতোদিনের এতো ভালোবাসা বাঁধতে পারেনি যাকে!
এতো আলিঙ্গন, চোখের তারার এতো কথকতা
যাকে পারে নাই দিতে প্রেমের বারতা।
নিমিষে তুড়ি মেরে করে অস্বীকার;
ভুলে যায় একান্তের সব অঙ্গীকার;
তার কাছে কি আছে প্রত্যাশা?
ভালোবাসা
সবার জন্য নয়।
মাংসের পিন্ড তুমি খুঁজেছিলে আমার শরীরে। অভিনয়
করে গেছো এতো দীর্ঘ সময় ধরে বুঝতে পারিনি।
তাই বলে হারেনি আমার ভালোবাসা, আমিও হারিনি।
তোমাকে মুক্তি দেবো না আমি। অনন্তকাল ধরে
আত্মধিক্কার নিয়ে বেঁচে রবে তুমি, আর তোমার মন যাবে মরে।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮