নানা রূপ ধরে
যখনতখন তুমি ঢুকে পড় আমার অন্তরে।
চোখ তাই পায় না তোমার দেখা;
চোখের আড়ালে থেকে সবকিছু করে যাও একা।


কখনোবা তুমি আস গান গেয়ে;
নৃত্যের তালে তালে বঙ্কিম নয়নে চেয়ে
শরীর দুলিয়ে দুবাহু বাড়িয়ে দাও;
শিহরণ কম্পনে আমার শরীর কাঁপাও!
কখনোবা হয়ে যাও লাল পরী, নীল পরী,
অপ্সরী;
রাতের আকাশে উজ্জ্বল তারা হও,
ইশারায় কথা কও।


জোছনার মতো আমার পৃথিবীতে ঝরে পড় পূর্ণিমা রাতে;
শিশিরের মতো কখনোবা আমাকে জড়িয়ে রাখ শীতের প্রভাতে।
সোনা রোদ হও সকালের প্রথম প্রহরে,
আমার ঘরে আস আলোর খেয়ায় চড়ে।
শীতল ছায়া দাও তরুবীথি হয়ে তপ্ত দুপুরে;
লাল নীল পদ্ম হয়ে ভেসে থাক প্রশান্ত পুকুরে।


অবাক হই দেখে দেখে!
মুখে রঙ মেখে
আমিও বহুরূপী হই;
তোমার সাথে মন খুলে কথা কই।


রচনাকাল: ঢাকা, ০৮ মে ২০২০