বকপক্ষী যায় উড়ে যায় রাত দুপুরে;
ধবল ডানা গুটিয়ে নামে মক্ষীরানীর অন্তপুরে।
মক্ষীরানীর যক্ষের ধন বক্ষখানি;
দেখেই বকের চোক্ষে ধাঁধা, বুকের মাঝে ধড়ফড়ানি।
খাচ্ছে খাবি;
অন্ধকারেই খুঁজছে রসের ঘরের চাবি।
রসের হাড়ির লম্বা গলা, রস রয়েছে তলানিতে; বকের ঠোঁটও লম্বা বটে, পারবে ঠিকই চুমুক দিতে!


বকপক্ষী আয়েশ করে হাড়ির গলায় ঠোঁট ঢুকালো;
চারদিকে তার বদ্ধ ঘরের অন্ধকারের গহীন কালো।
চোখ বুঁজে যেই জিব দিয়ে সেই রস খাবে সে;
ঠিক তখনি বক শিকারি পড়লো এসে।
হেঁচকা টানে নেয় গুটিয়ে ফাঁদের সুতো;
ফাঁস লেগে যায় বকের পায়ে আচ্ছামতো।


তারপরে আর গল্প আছে অল্পখানিক;
মক্ষীরানীর বুকের মাঝেও থাকলো না আর আন্ধা মানিক।
সেও চললো বান্ধা ঘরে;
লাভ হলো না ধান্দা করে।


রচনাকাল: ঢাকা, ০৪ আগস্ট ২০২১।