বৈশাখ জৈষ্ঠ্যের খরা তোর বুকে;
তবুও বলিস্ না মুখে,' দাও তৃষ্ণার জল।'
এক দিঘী কান্না নিয়ে সামনেই দাঁড়িয়ে থাকি আমি।
আষাঢ়ের ভরা নদীর মতো তোর চোখ জলে ছলছল;
বলিস্ না, 'এসো, মুছিয়ে দাও।'
বুকের জমিনে রাখা ভালোবাসার রুমাল সামনে উড়াই।
শ্রাবনের বর্ষণে ভিজে একাকার; ভুগিস্ ঠাণ্ডাজ্বরে;
কপালে আঙ্গুলের স্পর্শ দেবো, সে অধিকার কই!
শরতের কাশফুলের নরম আদর কে না পেতে চায়!
কি করে পৌঁছে  দেবো তোর গালে!
হিমশীতল শীতের রাতে ওম চাই তোর, বলিস্ না কিছুই ।
সামনে দাঁড়িয়ে কাঁপি উম্মুখ হয়ে।
বসন্তের দোলা তোর সমস্ত শরীরে;
আমি অবাক বিস্ময়ে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি।


রচনাকাল: ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০১৯