বেশ মেয়ে বেশ!
ধরে ছদ্মবেশ
শিকারের সন্ধানে বনে এলে তুমি প্রিয়ংবদা,
মণিপুর রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা।
ভ্রুক্ষেপ করোনি তুমি কারো প্রতি; তাকিয়েছো অবজ্ঞাভরে।


পথের মাঝখানে শুয়ে অর্জুন বিশ্রামের তরে;
বক্র দৃষ্টি হেনে,
ঘোড়ার লাগাম টেনে
অবলীলায়, বীরবিক্রমে,
পথ ছেড়ে দিতে বল তারে। সময়ের ক্রমে
অসহিষ্ণু হয়ে উঠে তেজদীপ্ত অর্জুন।
নিপুণ
বাক্যবাণে পরাস্ত করে তারে; নিজ পরিচয়ে বেঁধে দিলে
ভালোবাসার বন্ধনে। জিতে নিলে
অর্জুনের হৃদয়খানি।
অতঃপর বিয়ে, জানি।
যৌবনের আবাহনে গর্ভে নিলে তার সন্তান;
চলে গেলো অর্জুন বনবাস শেষে। তোমার মান- অভিমান
ফেরাতে পারেনি তারে;
চলে গেলো অর্জুন একেবারে।


একাকী অনেকটা সময় করে দিলে পার;
অশ্বমেধ-যজ্ঞের ঘোড়া নিয়ে অর্জুন ফিরলো আবার।
পিতা পুত্রের হলো দেখা।
কপালের লেখা,
পুত্রের হাতে নিহত অর্জুন। উলুপী দিলেন তারে পুনর্জীবন;
বসুদের শাপমুক্ত হলো সে তখন।


তোমার অর্জুন আবার তোমার হলো;
অর্জুনের হাত ধরে এবার ফিরে চলো।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০